হু্মায়ূন আহমেদের তৃতীয় প্রয়াণ দিবস ১৯ জুলাই

১৯ জুলাই রোববার হুমায়ূন আহমেদের তৃতীয় প্রয়াণ দিবস। এ দিবসকে ঘিরে বিভিন্ন সংগঠন দেশব্যাপী নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হুরমায়ূন আহমেদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, শোভাযাত্রা, স্মরণসভা, মিলাদ মাহফিল। এ ছাড়া কয়েকটি সংগঠন দেশের বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে পাঠাগার স্থাপন, ক্যানসার সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ও চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান জননন্দিত কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রনির্মাতা হুযমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। অনেক দিন ধরেই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গস্পর্শী। তিনি মধ্যবিত্ত জীবনের কথকতা সহজ-সরল গদ্যে তুলে ধরে পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে দিয়েই হুকমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যে পালাবদলের তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এরপর একের পর এক উপন্যাসে পাঠকের কাছে নন্দিত হয়ে উঠেছেন অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা নিয়ে। আমৃত্যু সেই জনপ্রিয়তার স্রোতে ভাটার টান পড়েনি।
হুয়মায়ূন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হন। মায়ের নাম আয়েশা ফয়েজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের মেধাবী ছাত্র হুকমায়ূন আহমেদ পাঠ শেষে ওই বিভাগেই প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। একপর্যায়ে তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে লেখালেখি, নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত হন। হুকমায়ূন আহমেদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
২০১১ সালে তাঁর অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়লে পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি আর ফেরেননি। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মরদেহ ঢাকায় আনার পর ২৪ জুলাই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে তাঁর প্রিয় নুহাশপল্লীর লিচুতলায় চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাঁকে। বিজ্ঞপ্তি।

No comments

Powered by Blogger.