ঋণখেলাপির মামলায় জবাব দিলেন খালেদা

ড্যান্ডি ডায়িংয়ের বিরুদ্ধে করা ৪৫ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জবাব আদালতে দাখিল করা হয়েছে। ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস লিখিত আকারে দেওয়া এই জবাব গ্রহণ করেন।
এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের পক্ষে লিখিত জবাব দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ মঙ্গলবার। অন্য তিনজন হলেন খালেদার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। তাদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে আদালত ৩০ আগস্ট জবাব দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খালেদার পক্ষে আদালতে দাখিল করা লিখিত জবাবে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক থেকে ড্যান্ডি ডায়িং কোম্পানি ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ নেয়। পরে সুদসহ ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করে। অথচ সোনালী ব্যাংক নিয়ম বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগে মামলাটি করেছে। যা অর্থঋণ আইনে বৈধ নয়। তা ছাড়া আরাফাত রহমান কোকো নামমাত্র কোম্পানির পরিচালক ছিলেন। তিনি লেনদেনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না।
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা যান। এরপর ১৬ মার্চ তাঁর সম্পদের অংশীদার হিসেবে খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার আবেদন করে সোনালী ব্যাংক। আদালত খালেদা জিয়াসহ চারজনের প্রতি সমন জারি করেন।
এ মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর মামা প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের ছেলে শামস ইস্কান্দার ও সাফিন ইস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া ইস্কান্দার ও স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন (অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে), মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।
১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডায়িংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এ কারণে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক এ মামলা করে।

No comments

Powered by Blogger.