ক্ষমতা গেলে আ’লীগ নেতাদের বোরকা পড়ে চলতে হবে : কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ক্ষমতা গেলে আওয়ামী লীগের নেতারা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারবেন না, হাঁটলেও তাদের বোরকা পড়ে চলতে হবে। আজ সোমবার ময়মনসিংহের ফুলপুর ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে শান্তির দাবীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী একথা বলেন। কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, ৫ জানুয়ারির ভোট চুরির নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, রাজনীতিকে মানুষের কাছে নিন্দনীয় করেছে। আইয়ুব খানের শাসনামলেও কিছু মানুষ ভোট দিতে পেরেছে, কিন্তু শেখ হাসিনা সে অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে কোনো আগ্রহ নেই উল্লেখ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, এ দেশের মানুষ সিটি নির্বাচন নয়, জাতীয় নির্বাচন চায়। তারপরও ভোটাররা যদি সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারে, তাহলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। বঙ্গবীর বলেন, সরকার এমন জালেম ও জাহেল হয়েছেন যে তিনি অন্তর থেকে কাঁদতেও পারেন না, তাকে গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদতে হয়। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ফুলপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ, কাশেম মেম্বার, শাহীনুর আলম প্রমুখ। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে এবং খালেদা জিয়াকে অবরোধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে টানা ৬৪ দিন মতিঝিলের ফুটপাতে অবস্থান শেষে ২ এপ্রিল থেকে সারা দেশে অবস্থান কর্মসূরি পালন শুরু করেন কাদের সিদ্দিকী। এই কর্মসূচির ৯১তম দিনে তিনি আজ সোমবার ময়মনসিংহের ফুলপুরে অবস্থান করছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় অবস্থান করবেন বঙ্গবীর। এদিন বিকেলে সেখানকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে তিনি মতবিনিময় করবেন।
‘ভোট সুষ্ঠু না হলে আন্দোলন আরও জোরদার’
সিটি নির্বাচনে ভোট সুষ্ঠু না হলে ভোটের অধিকারে যে আন্দোলন চলছে, তা আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। সোমবার নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যদি ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হয়, এজেন্টদের যেতে দেয়া না হয়, তাহলে আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, ভোটের অধিকারের যে আন্দোলন চলছে, তা আরও জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, সিটি নির্বাচনে ওই রকম নীল নকশা বাস্তবায়ন করা হলে এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে আমাদের অংশ নেয়া সম্ভবপর হবে না। মওদুদ আহম্মেদ বলেন, সরকার পুলিশ ও র‌্যাবকে দিয়ে নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিতে নীল-নকশা প্রণয়ন করেছে বলে আমরা শুনতে  পেরেছি, তা কাল (মঙ্গলবার) আমরা যাচাই করতে পারব। ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সবার সমান সুযোগ থাকা তো দূরের কথা, বিরোধী দলের প্রার্থীদের অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি ও নিপীড়নের কারণে প্রচারণায় অংশই নিতে পারেননি। বিরোধী প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে দেয়নি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ভোট পর্যবেক্ষণে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৮টা থেকে ‘মনিটরিং সেল’ কাজ শুরু করবে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের বাড়িতে একটি এবং ও উত্তরে মহাখালীর অ্যাংকর টাওয়ারে আরেকটি মনিটরিং সেল কাজ করবে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয় থেকেও ভোটের ওপর নজর রাখা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.