মনজুর-মাহীর ওপর হামলা, সংঘর্ষ

ভোট ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সহিংসতা। হামলার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামের মেয়রপ্রার্থী মনজুর আলম এবং ঢাকা উত্তরের মেয়রপ্রার্থী মাহী বি. চৌধুরী। শনিবার মধ্যরাতে মাহী বি. চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশো’তে অংশ নেয়ার পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। দুর্বৃত্তরা তার গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় আহত হয়েছেন মাহীর স্ত্রী আশফাহ হক লোপাও। অপরদিকে চট্টগ্রামে মেয়র মনজুরের প্রচারণার সময় পলিটেকনিক এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় নির্বাচনের পর কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা করেছেন মনজুর ও চট্টগ্রামের বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এ হামলায় চট্টগ্রামের সর্বত্র আতঙ্কও বিরাজ করছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তারা দু’জনই আওয়ামী লীগের। একজনকে দল থেকে সমর্থন দেয়া হয়েছে আর অপর জন হলেন বিদ্রোহী প্রার্থী। অভিযোগ পাওয়া গেছে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়ারও।
শনিবার মধ্যরাতে মাহীর ওপর হামলা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের নেতা মাহী বি. চৌধুরীর ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে মাহী বি. চৌধুরীসহ তার স্ত্রী লোপা, পিএস জাহাঙ্গীর ও চালক আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই তাদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় মাহী বি. চৌধুরীর পক্ষ থেকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর মাহীর সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। মাহী তাদের জানিয়েছে, ২০০৪ সালে যারা তার ওপর হামলা চালিয়েছিল তারাই আবার তার ওপর হামলা চালিয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে তাকে ভোট থেকে সরে যাওয়ার চাপও দেয়া হচ্ছিল। তিনি বলেন, সরকারের ওপর দোষ চাপানো এবং মাহী যেন নির্বাচন থেকে সরে যান এ জন্য তার ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, শনিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়েছিলেন মাহী বি. চৌধুরী। রাত পৌনে ২টার দিকে টক শো থেকে বেড়িয়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সিটি ফিলিং স্টেশন থেকে গাড়িতে তেল নিয়ে সামনের দিকে আগাতেই দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। এসময় দুর্বৃত্তরা হাতুড়ি দিয়ে মাহীর গাড়ির গ্লাস ভেঙে চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে আনে। পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলে। মাহী জানান, দুর্বৃত্তরা তার গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে তার স্ত্রীর ওপরও আঘাত করে। মারধরের সময় দুর্বৃত্তরা তাকে অশালীন ভাষায় গালাগালি করেন। এক দুর্বৃত্ত তাকে বলে ‘তোর নির্বাচন করার এত শখ কেন?’ মাহী জানান, ঘটনা কারা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। তবে ষড়যন্ত্র চলছে। আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা চাই নাই, কারণ সব সাবেক প্রেসিডেন্টের বাসায় সরকার পুলিশি নিরাপত্তা দিলেও বি. চৌধুরীর বাড়িতে কোন পুলিশ দেয়া হয় নাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহী বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আনিসুল হক, না তাবিথ আউয়াল জড়িত তা সময়ই বলে দেবে। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না। তবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো না, নির্বাচনে আছি, থাকবো, ইনশাআল্লাহ। ‘মাহী বলেন, ‘শনিবার সারা দিন তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামে মনজুরের ওপর হামলা- কেন্দ্র দখলের শঙ্কা, আতঙ্ক
চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মেয়রপ্রার্থীসহ বিএনপির শীর্ষ ৩ নেতা। একের পর এক হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নীরব ভূমিকা পালন করার বিষয়েও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। তারা সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে বারবার জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় আমরা ভোটের দিন কেন্দ্র দখলের আশংকা করছি।
পলিটেকনিক্যাল এলাকায় গতকাল নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করে এই ৩ নেতা জানান, দুপুরে নগরীর ৮ নং ওয়ার্ডের ওই এলাকায় ২০ দলীয় জোট সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী মনজুর আলমের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু হয়। এমন সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। তারা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত নিজস্ব ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে ক্যামেরাম্যান মনিরকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া, অতর্কিত এ হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ২০ জনের বেশি।
হামলার সময় বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া ৬/৭ জন প্রচারকর্মীকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। তাদের উদ্ধারে পুলিশকে খবর দেয়া হলেও বিকাল পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। নেতারা অভিযোগ করেন, দুপুর একটার দিকে মেয়রপ্রার্থী মনজুর  আলম, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল নোমান গণসংযোগ চালিয়ে নগরীর ২ নং গেইট, কসমোপলিটন, রুবি গেইট হয়ে পলিটেকনিক্যালের দিকে আসছিলেন। এমন সময় পলিটেকনিক্যালের  ভেতর থেকে কালা মানিক, আশরাফ, মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে দুই শতাধিক ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী  পেছন দিক থেকে অতর্কিত হামলা করে। আক্রমণকারীরা এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটায় সজ্জিত ছিল। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ক্যামেরাম্যান মনির (২০), ফরিদ আহমেদ মুরাদ (৪৫), মফিজ (৩৫) সহ অন্তত ২০ জন।
এর আগেও বায়েজীদের ওই এলাকায় একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেইসব ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সিএমপি কমিশনারকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা। পূর্বে যারা অভিযুক্ত তারাই গতকালের হামলায়ও নেতৃত্ব দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, পলিটেকনিক-বায়েজীদসহ সারা শহরে পুলিশ ও সরকারি দলের লোকজন যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তা জনগণ নীরবে প্রত্যক্ষ করছে। জনগণের মধ্যে মনজুর আলমের পক্ষে অভূতপূর্ব সমর্থন দেখে আগাম পরাজয় নিশ্চিত হয়ে তারা এখন হামলা-গ্রেপ্তার ও ভয়-ভীতির আশ্রয় নিয়েছে। আগামীকাল ২৮ তারিখ বাক্স ভরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণরায় দেয়ার মাধ্যমে জনগণ এর প্রতিশোধ নেবে। তিনি আরো বলেন, ভোটের দিন আমরা কেন্দ্র দখলের আশংকা করছি। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ভোটদানে নিশ্চয়তা দিতে আগাম ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে জনজোয়ার তৈরি হয়েছে। এটা দেখে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এই জন্য বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, দলীয় সন্ত্রাস আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস একীভূত হয়ে গেছে। এখন মানুষ প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। এই দলীয় সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ভোটকেন্দ্রে যাবে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সব কেন্দ্রেই কমলালেবুর প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে।
মেয়রপ্রার্থী মনজুর আলম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় সরকারি  দলের প্রার্থীর লোকজন পরিকল্পিত হামলা করেছে। এই সময় আমাদের বেশকিছু কর্মী আহত হয়েছেন। একজন প্রার্থীর গাড়িতে প্রকাশ্যে হামলার পর নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একজন সাবেক মেয়র ও অগ্রগামী প্রার্থীর ওপর হামলার পর নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিলে এটা জনগণের কাছে আরো পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, সরকার নির্বাচন কমিশন, দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচনী তামাশা আয়োজনের কু-মতলব আঁটছে।
এদিকে চট্টগ্রামে মনজুরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলার ঘটনায় নগরীতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত রাতেই নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ায় চারদিকে একটা গুমোট নীরবতা নেমে এসেছে। আতঙ্কে ভোটার কোন প্রার্থীর কাছে মন খুলে কথা বলছেন না। এদিকে শেষ দিনের মতো গতকাল সকালে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন মেয়রপ্রার্থী মনজুর আলম। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অর্ধশতাধিক দলীয় নেতাকর্মী। ছোট্ট মিনি ট্রাকে প্রচারণা চালানো সময় নগরীর পলিটেকনিক এলাকায় তাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নগরীর মেহেদীবাগের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মনজুর আলম বলেন, আজ (গতকাল রোববার) প্রচারণার শেষ দিন। আমাদের কিছু এলাকায় প্রচারণা বাকি ছিল। তাই ২ নম্বর গেইট এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করি। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রহমান নগর, কসমোপলিটন, রুবি গেইট এলাকায় গণসংযোগ করে পলিটেকনিক্যাল এলাকায় যাই। পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল ইটপাটকেল  ছুড়ে ও লাঠিপেটা করতে থাকে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। আমার ব্যক্তিগত ভিডিও ক্যামেরাটিও ভাঙচুর করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ নোমান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করছিলাম। হঠাৎ করেই আমদের ওপর হামলা চালানো হয়।  তিনি বলেন, যারা আমাদের ওপর কিরিচ নিয়ে হামলা চালিয়েছে, পাথর ছুড়েছে তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগ কর্মীরা এ হামলা করেছে। এই হামলা ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে মন্তব্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যদি আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলা হতো তাহলে পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতো। কিন্তু পুলিশ মামলা না করলে আমরা নিজেরা মামলা দায়ের করবো। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে জনজোয়ার তৈরি হয়েছে। এটা দেখে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এই জন্য বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, দলীয় সন্ত্রাস আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস একীভূত হয়ে গেছে। এখন মানুষ প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। এই দলীয় সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ভোটকেন্দ্রে যাবে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সব কেন্দ্রেই কমলালেবুর প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বাইরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে।  এদিকে শনিবার রাতে নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার নগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম রাশেদসহ দুইজন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহমুদুল আলমকে কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহমুদুল হাসান, ছাত্রদল নেতা এইএম রাশেদসহ তিনজনকে। সিটি নির্বাচনকে ঘিরে উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম নগরীতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যাত্রাবাড়ীতে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের সংঘর্ষ
সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী ফখরুল ইসলাম মুরাদসহ ১০ জন। রোববার রাতে এই ঘটনা ঘটে। তার আগে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সায়েম খন্দকার ও যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবনী শংকর কর মিলে মুরাদকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার ঘনিষ্ঠরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ফখরুল ইসলাম মুরাদ ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম খন্দকার কাউন্সিলর প্রার্থী হলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সায়েম দলীয় সমর্থন পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী তৎপরতা চালাচ্ছিলেন মুরাদ। এর জের ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফখরুল ইসলাম মুরাদের স্বজনরা জানান, রাতে লোকজন নিয়ে মুরাদের পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর (১৬/২) নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করেন কাউন্সিলর প্রার্থী সায়েম ও তার লোকজন। এসময় মুরাদসহ চারজন সমর্থকও আহত হন। পরে আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মুরাদকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ওই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর প্রার্থী সায়েম খন্দকার এবং যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি শংকর কর মিলে কয়েক দিন ধরেই নির্বাচন থেকে সরে যেতে মুরাদকে হুমকি দিচ্ছিলেন। হুমকি-ধমকির পর তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি শংকর কর বলেন, কসম খেয়ে বলতে পারব আমি এসব বলিনি। নির্বাচনের বিষয়ে আমি কেন এসব কথা বলতে যাব। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওসি জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ বিষয়ে সায়েমের পক্ষে আলম নামে একজন মামলা দায়ের করেছেন। একইভাবে পাল্টা মামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন মুরাদের লোকজন।

No comments

Powered by Blogger.