আসাম থেকে বাংলাদেশী বিতাড়ন আসলে রাজনৈতিক হুমকি

বাংলাদেশী অভিবাসী নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও কেন্দ্র ভিন্ন মত পোষণ করে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আসাম থেকে বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীদেরর উৎখাতের ঘোষণা দিলেও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই যে, ভারতে বা আসামে এখন কি পরিমাণ বাংলাদেশী রয়েছেন। যদি তা-ই না থাকে তাহলে কিভাবে আসামকে বাংলাদেশীমুক্ত করবেন অমিত শাহ। তাই পিটিআইয়ের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে অমিত শাহের এ হুমকি আসলে রাজনীতি। বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ এক ঘোষণায় বলেছেন, আসামকে বাংলাদেশীমুক্ত করা হবে। কিন্ত তার এ বক্তব্য আগামী বছর আসামে রাজ্যসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর। ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কি পরিমাণ বাংলাদেশী আছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান বের করা অসম্ভব। তবে গত রোববার আসামের গুয়াহাটিতে এক রাজনৈতিক সমাবেশে অমিত শাহ ঘোষণা দেন যে, আসামের ভোট হবে আসামকে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করার জন্য। এ সময় ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেন। বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকার সময়ে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করার কোন পদক্ষেপ নেয় নি। আমরা নাগরিকদের নিবন্ধন বিষয়ক এনআরসিকে আধুনিকায়ন করতে অর্থ দিয়েছি। কিন্তু এ রাজ্যের সরকার তা করতে অনীহা দেখাচ্ছে। কারণ, এসব অবৈধ অভিবাসী তাদের ভোটব্যাংক। তবে এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। আসাম থেকে অবশ্যই তাদেরকে উচ্ছেদ করবে বিজেপি। ওদিকে ২১শে এপ্রিল লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই অনেক বাংলাদেশী ভারতে প্রবেশ করেছে বলে রিপোর্ট এসেছে। তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। লোকসভায় এমপি অনুপ্রিয়া পাতেল, যোগী আদিত্যনাথ ও নরসীমা থোটা ভারতে বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা, তাদের অপরাধের ধরণ-প্রকৃতি এবং তার প্রেক্ষিতে সরকার কি করেছে সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন। তার জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আটক করা হয়েছে ১৮ হাজার বাংলাদেশীকে। এটা ঘটেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সময়ে।

No comments

Powered by Blogger.