হিন্দু মেলায় আ‘লীগ নেতার গুলিতে ছাত্রলীগ নেতা খুন

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে হিন্দুদের মেলায় চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে আ’লীগ নেতার গুলিতে নিহত হলো ছাত্রলীগ নেতা বাঁধন খন্দকার (২১)। এ সময় সংঘর্ষে ছাত্রলীগের আরো ১০ জন আহত হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় ৫টি মটর সাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস। বুধবার দুপুরে সাধুর পুকুর কালী মন্দির এলাকায় চৈত্র মেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে ইউনিয়নের সাধুর পুকুর কালী মন্দির এলাকায় হিন্দুদের চৈত্র মেলায় আধিপত্য, জুয়া ও চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে বিরোধ বাধে। বিরোধের এক পর্যায়ে দুপুরে ১টার দিকে উভয় গ্রুপের মাঝে কথা কাটাকাটি হয় এবং সংঘর্ষ বেধে গেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিঠুর অনুসারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলি চালায়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মুলাডুলি ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে নেয়ার পথে বাধন মারা যায়। সে মুলাডুলি কলেজের ছাত্র । সে একই গ্রামের ছানা খন্দকারের ছেলে। সংঘর্ষের সময় উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পাবনা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে ও রেল লাইনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ৫টি মটর সাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে বুধবার হিন্দুদের মেলায় চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ওসি ২ জন আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং স্থানীয়রা জানান, কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাপসাতালে পাঠানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.