আফ্রিকার স্থাপত্য ও সংস্কৃতি : মুসলমানদের অবদান by সৈয়দ লুৎফুল হক

১৪০০ থেকে ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ইউরোপ ও এশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়Ñ যা রোমানদের সাম্রাজ্যের যোগাযোগের অনুকরণে। ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের পর দূরবর্তী রাজ্যগুলোর সাথে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি লাভ করে। ধর্মযাজকেরা বাণিজ্যের মাধ্যমে তাদের ধর্মকে এসব অঞ্চলে নিয়ে যায়। এর ফলে পূর্ব ও পশ্চিমের দেশগুলোর সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় সাধিত হয়। আফ্রিকায় আরবদের মুসলিম ধর্ম ও সংস্কৃতি বণিকদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে সময়ে আরব বণিকেরা আফ্রিকা ও এশিয়ায় প্রাধান্য বিস্তার করে রেখেছিল। আরবদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ও তাদের ধর্ম ছিল ইসলাম। এর ফলে এসব অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তা ছাড়া উত্তর আফ্রিকায় তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল খুবই ভালো। সিল্করোডের মাধ্যমে এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে ভারত পর্যন্ত তাদের যোগাযোগ ছিল। তুরস্ক বা কনস্টান্টিনোপল থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল পর্যন্ত তাদের যোগাযোগ ছিল।

ভেনিসের একটি বণিক পরিবারে মার্কোপলো জন্মগ্রহণ করেন। ১২৫৪ থেকে ১৩২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মুঘলদের সাথে মার্কোপলো বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি করেন। সময়টি ছিল কুবলাই খানের শাসনামল ১২৬০ থেকে ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দ। এ সময়ে মুঘলদের সাথে চীনের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কুবলাই খান চীন ও মুঘলদের সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করেন। কুবলাই খান দূরবর্তী যোগাযোগের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময় স্থাপন করেন। বিংশ শতাব্দীতে একই পথ ধরে ফ্রান্সিসকান ও দমিনিকান মংকরা ঈশ্বরের বিশ্বাসকে চীনে নিয়ে যান। এসব বিশ্বাস হিন্দু ও মুসলমানদের দারুণভাবে নাড়া দেয়। ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দ পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলগুলো শক্তিশালী হতে থাকে। এর ফলে নিকটবর্তী অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা কমে যেতে থাকে। ফ্রান্সিসকো পিগোলেটি তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন তার চায়না গ্রন্থে ভ্রমণ সম্পর্কে। কনফুসিয়াস ও বুদ্ধিজম মুঘল শাসনের অবসানের পরও চীনে এর বিস্তার লাভ করে।
চীনাদের মূল সুবিধা ছিল ১৪০৫ থেকে ১৪৩৩ খ্রিষ্টাব্দে চীনারা বিরাট বিরাট কাঠের জাহাজ তৈরি করে, ২৮ হাজার নাবিক নিয়ে ভারত মহাসাগর পাড়ি দেয়। আফ্রিকার বন্দরগুলোতে পৌঁছে যায়। এর ফলে চীনাদের রাজনীতি ও বাণিজ্য এসব দেশে বিস্তৃতি লাভ করে। যেসব অঞ্চলে বুদ্ধিস্টদের প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল, পূর্ব এশিয়ার খ্রিষ্টানরা এসব অঞ্চলে পরবর্তী সময়ে ভ্রমণ করে এবং খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের চেষ্টা চালায়। এরপর মুসলমানরা আরো দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এবং এ সব অঞ্চলের লোকদের মক্কায় হজ পালনে উদ্বুদ্ধ করে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে নতুন কর্মকাণ্ড শুরু হয় সংস্কৃতি বিনিময়ের ক্ষেত্রে। ১৪৫৪ খ্রিষ্টাব্দে অটোমান সৈন্যরা কনস্টান্টিনোপলকে (তুর্কি) পরাজিত করে বাইজেন্টাইন সভ্যতার হাজার বছরের ঐতিহ্যকে হারিয়ে ফেলে। যার ফলে তুর্কিদের অবস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থাপিত হয়। এশিয়ানরা কেরভেনের মাধ্যমে নিরাপদ সড়ক হিসেবে ইউরোপের সাথে বাণিজ্য শুরু করে। এ দিকে পশ্চিমা শাসকেরা দু’টি অগ্রগামী পথ হিসেবে সব নদীপথ দখল করে রাখে তুর্কিদের আক্রমণের জন্য কার্যকরী পথ হিসেবে ভেনিস ও স্পেনের অঞ্চলটি বেছে নেয়। ১৫৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ওয়েস্টার্ন গ্রিসে অটোমানদের যেখানে পরাজিত করেছিল, এটি ‘লিপেন্টো’ যুদ্ধ নামে পরিচিত। যেখানে অটোমান নৌবাহিনীর খুব কম উপস্থিতি ছিল। যদিও তুর্কিরা দ্রুততার সাথে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবাহিনী পুনঃস্থাপিত করেছিল। আসলে এটি বাণিজ্যিকভাবে কোনো যোগাযোগের পথ ছিল না। সাধারণভাবে সোনা, রুপা অথবা মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানির জন্য ব্যবহার করা হতো। আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপীয় দেশ আরব ও তুর্কিরা দখল করে নেয় বিদেশী বাজারগুলোর জন্য। নৌবাণিজ্যের যান্ত্রিক বিষয়গুলো অত্যন্ত কঠিন ছিল। ইউরোপীয়রা পুরনো নৌবাণিজ্য ও নৌযানের যান্ত্রিক বিষয়গুলো আরবদের তুলনায় উন্নতিসাধন করে কম্পাস ও দুরবিন আবিষ্কারের ফলে আরবদের চেয়ে ওরা এগিয়ে যায়।
পনেরো শতাব্দীর প্রথমার্ধে টলেমির জিয়োগ্রাফি ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হওয়ার পর ভৌগোলিক সীমারেখার ওপর তৈরি করা হয় ল্যাটিচউ ও লংগিচুডের সাহায্যে। পর্তুগিজ নাবিক প্রিন্স হেনরির উৎসাহ দেয়ার ফলে ১৩৯৪ থেকে ১৪৬০ খ্রিষ্টাব্দে একটি ম্যাপ ও চার্ট তৈরি করা হয়। পর্তুগিজ ও স্প্যানিশরা এই ম্যাপ ও চার্টের মাধ্যমে আরবদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে যায়। এর ফলে দুই থেকে তিনটি এসব যন্ত্রপাতি সংবলিত বিভিন্নমুখী যাত্রার দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য সমুদ্রযাত্রা নিশ্চিত করে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। এসব জাহাজে পিতলের কেনিওন এবং ফায়ার করার ক্ষমতা তৈরি করা হয়Ñ যা ১৪৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ভাস্কোদাগামার ১৪৬০ থেকে ১৫২৪ খ্রিষ্টাব্দে সাউথ আফ্রিকার সমুদ্রভ্রমণে ঘটেছিল পর্তুগিজদের বাণিজ্য রোডে ভারতীয়দের বাণিজ্যিক স্থানগুলোতে।
ক্রিস্টফার কলম্বাস ১৪৫১ থেকে ১৫০৬ একজন ইতালীয় কর্মী স্পেনের জলরোর্টে যখন চীন ভ্রমণ করেছিলেন তখন তিনি আমেরিকা আবিষ্কার করেনÑ যা ইউরোপীয়রা কখনো কল্পনা করেনি। এর ফলে পৃথিবীর ইতিহাসের ধারাবাহিকতা পরিবর্তিত হয়ে যায়। স্প্যানিশরা তাদের সব নৌভ্রমণ বন্ধ করে দেয় চীন যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে। তারা নৌভ্রমণের মাধ্যমে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে পর্তুগিজরা পূর্ব দিকে আফ্রিকা ও ভারত মহাসাগর পাড়ি দেয়। এই উদ্যোগের ফসল হিসেবে আমেরিকা ও আফ্রিকা আবিষ্কারের ফলে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়Ñ যা আধুনিক পৃথিবীতে পশ্চিমাদের প্রাধান্য স্থাপিত হয় এবং সংস্কৃতি বিনিময়ের কার্যক্রমের আরো সুযোগ করে দেয়।
আফ্রিকান আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য : যদি আমরা আফ্রিকার প্রাচীন ভাস্কর্য দেখতে চাই দেখা যাবে আফ্রিকার স্থাপত্যের সামান্য কিছু নিদর্শন পাওয়া যাবে শত শত বছরের পুরনো। এতে প্রতীয়মান হবে না বিস্তৃতভাবে এ ধরনের স্থাপত্যকাঠামো গড়ে উঠে ছিল। একটি সর্ভেতে আফ্রিকান বাড়িঘর তৈরির পদ্ধতি তিন ডজনেরও বেশি বিভিন্ন ফর্ম রয়েছে। স্থাপত্যের ম্যাটেরিয়াল ছিল কাদামাটি, পথের, ব্রাশউড ও ইট রোদে শুকানো মিকচার মাটির তৈরি, এর সাথে স্ট্র ব্যবহার করা হতো। সামাজিক প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয়দের অবস্থানে দেখে মনে হয় আফ্রিকানদের কোনো স্থায়ী কাঠামোর প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু প্রাচীন বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে যেমন জিম্বাবুয়েতে পাথরের তৈরি বাড়ির নিদর্শন পাওয়া যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যভাগে যেখানে একটি শক্তিশালী রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১০০০ খ্রিষ্টাব্দে। যেখানে বিরাট আকার পাথরের দেয়াল নির্মিত হয়েছিল। এই স্থাপনা প্রমাণ করে যে, এখানে একটি রাজকীয় বাসস্থান ছিল। এটি হলো সবচেয়ে বড় স্থাপনা পিরামিডের পর।
গ্রামীণ আফ্রিকানরা নিশ্চিত করে যে তাদের সামাজিক যে ব্যবস্থা ছিল তা স্থাপনা কিংবা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনার মানসিকতা তাদের ছিল না। শহুরে আফ্রিকানদের মধ্যে মুসলমানদের আধিপত্য ছিল। শহরে যেসব দালানকোঠা তৈরি হয়েছিল সেগুলো দেখতে হৃদয় স্পর্শ করবে, বিশ্বের স্থাপত্যের ইতিহাসে। মালির মসজিদ উদাহরণ হিসেবে তাদের প্রকৃতিগতভাবে স্থাপন করা হয়েছে। বুলবাস টাওয়ার, ডিম্বাকৃতির ফিনিয়ালস (স্থানীয়দের চিহ্ন যা উর্বরতার দৃষ্টান্ত)। একটি অপূর্ব ক্যাসেল। এসব স্থাপনা প্রমাণ করে যে, এগুলো তৈরি করা হয়েছিল সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে। কোনো কোনোগুলো পরে পুনঃনির্মিত হয়েছে। এগুলো ধারাবাহিকভাবে ১২০০ শতাব্দী পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এসব দেয়াল ও টাওয়ার কাঠের তৈরি বিমের সাহায্যে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল, এগুলো সম্পূর্ণ সেমিপার্মানেন্ট। আফ্রিকার মসজিদগুলোর স্থাপনা মুসলমানদের গৌরব। এশীয়া ও স্থানীয় স্থাপত্যের ধারাবাহিকতায় যেমন মন্দির ও কবরস্থান প্রাচীন সংস্কৃতির নিদর্শন বহন করে। আফ্রিকার প্রারম্ভ থেকে বিদ্যমান যেসব স্থাপত্য পাহাড়ের গাত্রে বা পাদদেশে পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে। এর মধ্যে আফ্রিকানদের অধ্যাত্মবাদ ও তাদের অনুভূতির প্রকাশ পেয়েছে। এর ভেতর দিয়ে পৃথিবীর সাথে গোপনীয় সম্পর্কের বিষয়টি রয়েছে। এসব স্থাপত্য কর্মে মানুষের জীবন, সমাজের রূপ ফুটে উঠেছে। স্থাপত্যে ব্যবহৃত কাঠের খণ্ডগুলো মঞ্চনির্মাণের উপাদান হিসেবে কাজ করেছে।
সংস্কৃতি বিনিময় ও প্রতিবন্ধকতা : অষ্টম শতাব্দীতে পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামের আগমন ঘটে। সাহারা বাণিজ্যের ফলে সেখানে ইসলামের প্রাধান্য স্থাপিত হয়। যেকোনো কারণে হোক এসব অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই। সর্বপ্রথম সুদানে ইসলামের বিস্তার সাধিত হয়। ইসলামের শান্তি, জীবনাচার এবং ইসলামের প্রশাসন, জ্ঞান ইসলাম প্রচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মালির শাসনব্যবস্থা ‘মনসা’ রাজা মুসা ১৩১২ থেকে ১৩৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মুসলমান সম্ভ্রান্তদের একত্র করেন হজের মাধ্যমে। ১৩২৪ খ্রিষ্টাব্দ তিনি তার সচিবদের অধিক পরিমাণে স্বর্ণ মালি থেকে মক্কায় প্রেরণ করেছিলেন হাজীদের জন্য। পশ্চিম আফ্রিকার শাসক মুসা সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহিত ছিলেন তিনি চিত্রকলার প্রসারের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মসজিদ তৈরির জন্য শিল্পীদের নিয়োজিত করা হয়। তিনি ইসলাম সম্পর্কে আলোচনার জন্য বুদ্দিজীবীদের উৎসাহিত করতেন।
বর্তমান যুগেও সাহিত্য, সংস্কৃতি বিনিময়ে নানারূপ প্রতিবন্ধকতা চোখে পড়ে যা ধারাবাহিকভাবে অতীতকাল থেকে চলে আসছে। মুসলিম পরিব্রাজক ইবনে বতুতা (১৩০৪-১৩৬৯) ধনী এক মুসলমান পরিবারে উত্তর আফ্রিকার টেঙ্গাইর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বতুতা আইন ও আরবি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। ১৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথম নৌভ্রমণ শুরু করেন। সারা জীবন তিনি ভ্রমণ করে কাটিয়ে দিয়েছেন। কখনো পায়ে হেঁটে কখনো উটে চড়ে এভাবে তিনি ৭৫০০০ মাইল ভ্রমণ করেছেন। তার ভ্রমণের স্থানগুলোর মধ্যে চীন, ইন্দোনেশিয়া, পার্শিয়া, ভারত, মিয়ানমার, স্পেন, আরব, রাশিয়া এশীয়া মাইনর, মিসর এবং পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকা। তিনি মূলত ভ্রমণ শুরু করেন ধর্ম প্রচারের জন্য। আফ্রিকার ভেতরে মুসলমান স্কলারদের সাথে মুসলমানদের আইন, ধর্মীয় আচার এবং জীবনযাপন ইত্যাদির মাধ্যমে কাজ করেন। ইসলামের আদর্শ, শান্তি ও শাসনব্যবস্থা সারা বিশ্বের অন্যদের মুসলমান হওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহান্বিত করেছিল। ১৩৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তার ভ্রমণকাহিনীর ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেন এবং মরক্কো ও মালিতে দুই বছর অবস্থানের ঘটনা তার এই ভ্রমণকাহিনীতে সম্পৃক্ত করেন। এই গ্রন্থ ও অভিজ্ঞদের জন্য একটি মূল্যবান দলিল হিসেবে কাজ করবে। গ্রন্থটির নাম দেয়া হয় ‘বিরলা’ অর্থাৎ ‘পর্যটকদের গ্রন্থ’। মালি সম্পর্কে এই গ্রন্থ চু উন্মোচিত করে দিয়েছে। ইবনে বতুতার এই সূক্ষ্মদৃষ্টি, ভ্রমণক্ষমতা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে অবদান রাখবে।

No comments

Powered by Blogger.