রংপুরে এরশাদকে বরণ করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে বরণ করা নিয়ে দলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর নিজ বাড়ি পল্লিনিবাসে না গিয়ে এরশাদ শহরের নিউসেনপাড়ায় অবস্থিত পৈতৃক নিবাস স্কাইভিউয়ে উঠেছেন।
সংঘর্ষের সময় দুটি মাইক্রোবাস ও প্রথম আলোর আলোকচিত্রী মঈনুল ইসলামের মোটরসাইকেলসহ চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। জানা গেছে, আজ সকালে এরশাদ হেলিকপ্টারে করে রংপুর স্টেডিয়ামে যান। এ সময় পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গার নেতৃত্বে একটি পক্ষ এবং জেলার সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটির সদস্য সচিব, সাবেক সাংসদ ও এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি পক্ষ তাঁকে বরণ করতে যায়। সেখানে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির পর ধাক্কাধাক্কি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বেলা ১১টার দিকে শহরের দর্শনা মোড়ে এরশাদের বাড়ি পল্লিনিবাসে আগে থেকে জমায়েত হওয়া দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা দুটি মাইক্রোবাস ও প্রথম আলোর আলোকচিত্রী মঈনুল ইসলামের মোটরসাইকেলসহ চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এতে দুই পক্ষের অন্তত পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সংঘর্ষের সময় শহরের আরকে রোড মহাসড়কে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
জানতে চাইলে মহানগর নতুন কমিটির সদস্য সচিব এম এম ইয়াসির বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এরশাদকে বরণ করে নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিলুপ্ত কমিটির লোকজন আমাদের নেতা-কর্মীদের লাঞ্ছিত করে। পরে তাঁরা নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’
এ ব্যাপারে পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে কয়েকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.