ধর্ষণ ধর্ষণ করে চিত্কার করে কী হবে?

বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পর এবার হাওড়ার বিধায়ক অশোক ঘোষ। ধর্ষণ নিয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিতর্কিত মন্তব্য অব্যাহত রয়েছে।
আজ বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বিতর্কের সময় বলতে উঠে মধ্য হাওড়ার বিধায়ক বলেন, ‘ধর্ষণ ধর্ষণ করে চিত্কার করে কী হবে? রাত ২টোর সময় কি আমার, আপনার মেয়েরা বাড়ির বাইরে থাকে? তাহলে বুঝতেই পারছেন কী হচ্ছে?’। অর্থাত্ দিল্লি গণধর্ষণের পর মহিলা নির্যাতন রুখতে সংসদে বিল পাস হলেও জনপ্রতিনিধিদের মনোভাব যে বলতে গেলে মধ্যযুগেই পড়ে রয়েছে অশোকবাবুর মন্তব্যে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। ধর্ষণের মতো একটি গুরুতর সমস্যাকে তেমন মূল্যই দিচ্ছেন না তাঁরা।

প্রসঙ্গত, কাকলি ঘোষ দস্তিদারও পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পার্কস্ট্রিটের ঘটনাটি খদ্দেরদের সঙ্গে ওই মহিলার রফা না হওয়ারই ফল। সর্বোপরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পার্কস্ট্রিট ও কাটোয়া গণধর্ষণের ঘটনাকে সাজানো ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছিলেন। ধারণা হয়েছিল, ক্ষমতায় এসে তিনি বদলে গিয়েছেন এবং আগের মতো নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাঁদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাকে গুরুত্বই দিতে চাইছেন না। এবং তাঁর এই অবস্থানের জন্যই দলের অন্যরা এ ব্যাপারে আলটপকা মন্তব্য করার ছাড়পত্র পাচ্ছেন।প্রত্যাশিতভাবেই অশোকবাবুর মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি যেভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার মতো করে ধর্ষণের অপরাধকে লঘু করে কার্যত নির্যাতিতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নাগরিক সমাজ।

No comments

Powered by Blogger.