মেধাবী মুখ- উদ্যমী আমিনুল by হাবিবা সিদ্দিকা

প্রথম হওয়া সব সময়ই গৌরবের। আর যদি হয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম হওয়া, তা আরও বেশি গর্বের, আরও বেশি আনন্দের। বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে বিবিএতে প্রথম হওয়া আমিনুল ইসলামের কথা।
আমিনুল জানান, কখনোই খুব পড়ুয়া ধরনের ছাত্র তিনি ছিলেন না। খেলাধুলা খুব পছন্দ করতেন। তাই ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি খুব ঝোঁক ছিল। বেশ পারদর্শীও ছিলেন ক্রিকেটে, জানালেন তিনি। ‘স্কুলের ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন ছিলাম আমি’, গর্বের সঙ্গেই বললেন। গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন। পড়াশোনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদর্শ স্কুলে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে। দুই পরীক্ষায়ই ফলাফল ছিল সন্তোষজনক। উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রস্তুতিস্বল্পতার কারণে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ মিলল না, তখন কিছুটা উদ্যম হারিয়ে ফেলেছিলেন। তারপর সুযোগ মিলল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর পরের গল্প শুধুই তাঁর সাফল্যের।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর পড়াশোনার দিকে দিলেন বাড়তি মনোযোগ। খেলাধুলাও অনেক কমিয়ে দিলেন। এত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ বিবিএতে সিজিপিএ-৪ এর মধ্যে ৩.৮৫ পেয়ে নিজ বিভাগে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এত ভালো ফলাফলের পেছনের কাহিনিটা জানতে চাইলে নিয়মিত ক্লাস করার কথাই বারবার বললেন। পাশাপাশি কুইজে অংশ নেওয়া, সময়মতো অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া—প্রেজেন্টেশনে অংশ নেওয়ার ওপরও গুরুত্ব দিলেন।
২০১২ সালের অক্টোবরে পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক। এ পদক তাঁর সাফল্যের গল্পে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এ ছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন বেশ কিছু ক্লাব কার্যক্রমের সঙ্গে। ছাত্র থাকাকালীন ছিলেন রোটারি ক্লাবের সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খেলাধুলা কমিয়ে দিলেও পুরোপুরি তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাননি, সক্রিয় সদস্য ছিলেন ক্রিকেট ক্লাবের।
এখন কর্মরত আছেন একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে। ভবিষ্যতে শিক্ষকতা করার ইচ্ছা আছে—তা সে পূর্ণকালীন কিংবা খণ্ডকালীনই হোক।

No comments

Powered by Blogger.