জলাশয়ের বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে

তেলখনির আশপাশের তৈলাক্ত বালি আশপাশের জলাশয়ে মিশে যাওয়ার ফলে বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে পড়ে। কানাডার একদল গবেষক এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স সাময়িকীতে তাঁদের গবেষণা প্রতিবেদন গত রোববার প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বড় আধার কানাডার আলবার্টা। সেখানে তেল উৎপাদন বেড়েই চলেছে। কানাডার কিংস্টনে অবস্থিত কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জসুয়া কুরেকের নেতৃত্বে গবেষকেরা স্থানীয় জলাশয়ের ওপর তেলখনির প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁদের মতে, খনি এলাকার তৈলাক্ত বালি ও তেল চুইয়ে জলাশয়ে গিয়ে মিশে যাচ্ছে। ফলে সেখানে পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (পিএএইচ) নামক জৈব যৌগের মাত্রা বেড়ে যায়। ১৯৬০ সালে জ্বালানি তেল উৎপাদন শুরুর পর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পিএইচের মাত্রা স্থানভেদে আড়াই থেকে ২৩ গুণ বেড়েছে। গবেষণায় আলবার্টার খনি এলাকার আশপাশের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে বেলে মাটির পিএইচ এবং জলাশয়ের নিচের মাটির পিএইচের মাত্রা নির্ণয় করা হয় এবং তা প্রাকৃতিক উপায়ে (যেমন: দাবানল) পিএইচের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তুলনা করা হয়। অবশেষে প্রমাণ হয়, জ্বালানি তেলের উৎপাদনের কারণে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং ক্যানসারের জন্য দায়ী বিভিন্ন বিষাক্ত যৌগ জলাশয়ে মিশছে। পরিণামে জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
আলবার্টার এডমন্টনে আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড শিন্ডলারের নেতৃত্বে ২০০৯ ও ২০১০ সালে পরিচালিত ভিন্ন দুটি গবেষণায় দেখা যায়, তেলখনির কারণে স্থানীয় নদীর পানিতে পিএইচ ও ভারী ধাতুর মাত্রা বেড়েছে। বছরের প্রতিদিন এবং প্রতি ২৪ ঘণ্টাব্যাপী এ দূষণ অব্যাহত থাকে। নেচার।

No comments

Powered by Blogger.