ইসলামে নৈরাজ্য শত্রুতা চরমপন্থার কোন স্থান নেই প্রধানমন্ত্রী- স্বার্থান্বেষী মহল ইসলামকে উগ্রপন্থীদের ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত করছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশের মসজিদগুলোকে প্রার্থনা ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চায়। তিনি বলেছেন, ইসলাম হলো শানত্মি ও সমপ্রীতির ধর্ম । এখানে গোলযোগ, নৈরাজ্য, শত্রম্নতা ও চরমপন্থার কোন স্থান নেই।
কিন্তু তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বার্থান্বেষী একটি মহল তাদের অপকর্মের মাধ্যমে ইসলামকে উগ্রপন্থীদের ধর্ম হিসেবে চিহৃিত করছে যা বিশ্ব সমপ্রদায়ের কাছে মূলত ইসলামের ভাবমূর্তিকেই ৰুণ্ন্ন করছে। প্রধানমন্ত্রী আলেম ও মুসলি-মদের প্রতি যারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রানত্ম করার চেষ্টা করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের নবনির্মিত মিনার, মহিলাদের নামাজের বর্ধিত রম্নম ও অন্যান্য স্থাপনা উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। খবর বাসস'র। সৌদি সরকারের আর্থিক সহায়তায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার ও সমপ্রসারণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি টাকারও বেশি। এ প্রকল্পের আওতায় মসজিদের দৰিণ পস্নাজায় ১৭০ ফুট উঁচু মিনার ও নামাজের নতুন স্থান নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন স্থানে একযোগে ২০ হাজারেরও বেশি মুসলিস্ন এবং গ্রাউন্ড ফোরে ৫ হাজার ৬শরও বেশি মহিলা নামাজ আদায় করতে পারবেন। তিনি বলেন, এর আগেরবারের (১৯৯৬-২০০১) আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বর্তমান সরকারও মসজিদভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচী ব্যাপকভাবে বাসত্মবায়ন করে চলেছে। এসব কর্মসূচী ভবিষ্যতে সারাদেশে আরও বিসত্মৃত করা হবে। দেশের প্রায় তিন লাখ মসজিদের কথা উলেস্ন-খ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা জনগণ ও সমাজের কল্যাণে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন। মসজিদ অবকাঠামো ব্যবহার করে দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিৰা বিসত্মার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার মসজিদভিত্তিক গণশিৰা প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে ৬৪৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অনুমোদন করেছে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, এসব প্রকল্পের আওতায় ৩৮ হাজার ইমাম ও ওলেমার কর্মসংস্থান এবং লাখ লাখ শিৰার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কারে সনত্মোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার শিৰার্থীদের নৈতিক মান উন্নয়নে ইসলামী শিৰার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও জ্ঞান প্রসারের লৰ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ বায়তুল মোকাররম সোসাইটি ও ইসলামিক একাডেমীর সমন্বয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা) এর জীবন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার লৰ্যে বঙ্গবন্ধু প্রথম ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপনের পদৰেপ গ্রহণ এবং ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, শব-ই-কদর ও শব-ই-বরাতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি সরকারের অর্থ উপমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালেহ আল গিফাইলি। অনুষ্ঠানে ইসলামী প-িত, ধর্মীয় নেতা, সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা, মুসলিস্ন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.