বিশেষ সাক্ষাৎকার : জয়নুল আবদিন ফারুক-বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় বিরোধী দল বিএনপি। নবম সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে যোগ দেয়নি তারা। অন্যদিকে একটি ফলদায়ক সংলাপ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিদেশি কূটনীতিকরা তৎপর। এ অবস্থায় দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে কালের কণ্ঠের মুখোমুখি হন সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক এমপি।


সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলী হাবিব
কালের কণ্ঠ : নবম সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনেও যোগ দেয়নি বিরোধী দল। বিরোধী দলের এই সংসদ বর্জন কতটা যুক্তিযুক্ত?
জয়নুল আবদিন ফারুক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আমার দৃষ্টিতে সংসদ অধিবেশনে যোগ না দেওয়া যুক্তিযুক্ত। নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এই সংসদকে কার্যকর করার জন্য সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন; যদিও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় আসে। বিরোধীদলীয় নেতা সরকারের দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তা গ্রহণ না করে বরং সংসদে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের এমপি, নেতারা বিরোধী দলকে হেস্তনেস্ত করে অশোভন বক্তব্য দিচ্ছেন। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়া এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি করে বক্তব্য দিচ্ছেন। সংসদে এ পর্যন্ত বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা দেশের ও আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে অনেক মুলতবি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সরকারি দলের অঙ্গুলি হেলনের কারণে স্পিকার আজ পর্যন্ত একটিও মুলতবি প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তাই এ সংসদ একদলীয় সংসদে পরিণত হয়েছে। সরকারি দলের আন্তরিকতা ও সুস্থ পরিবেশের অভাবে বিরোধী দলবিহীন সংসদ চলছে। বিরোধী দল হিসেবে বিবেচনা না করে আসনসংখ্যা বিবেচনা করে বিরোধী দলকে অপমান করছে। তাই সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল যোগ না দেওয়াই যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি।
কালের কণ্ঠ : সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পার করল মহাজোট সরকার। সরকারের এ সময়টাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : সাড়ে তিন বছরে এ সরকার জাতিকে কিছুই দিতে পারেনি; বরং সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এ সরকার বিশ্বদরবারে দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। টিপাইমুখ বাঁধ, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে মানুষ হত্যা, গুলি ইত্যাদি ইস্যুতে এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে এ দেশ চলছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
কালের কণ্ঠ : এ সরকারের কাছে জনগণের আরেকটি প্রত্যাশা ছিল সুশাসন। এটা মহাজোটের নির্বাচনী অঙ্গীকারও। কাঙ্ক্ষিত সেই সুশাসন কতটুকু নিশ্চিত করতে পেরেছে সরকার?
জয়নুল আবদিন ফারুক : এ সরকার সুশাসনের কথা বলে এবং ১০ টাকা কেজি চাল, বিনা মূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার নাম করে দলীয় লোকদের চাকরি দিয়ে প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সুশাসনের নামে দলীয় প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। যোগ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওএসডি করে পছন্দের লোক দিয়ে প্রশাসন চালাচ্ছে।
কালের কণ্ঠ : বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এ অবস্থায় সরকার কী ব্যবস্থা নিতে পারত বলে আপনি মনে করেন? অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কিন্তু বারবার বলা হয়েছে বা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে আপনার অভিমত কী?
জয়নুল আবদিন ফারুক : জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। মন্ত্রী পরিবর্তন করেও কোনো লাভ হয়নি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করছে।
কালের কণ্ঠ : বাজারের পাশাপাশি শেয়ারবাজার নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। শেয়ারবাজার নিয়ে আপনার অভিমত জানতে চাই। নতুন যে ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স দেওয়া হলো এ নিয়ে আপনার অভিমত কী?
জয়নুল আবদিন ফারুক : শেয়ারবাজার নিয়ে আমার অভিমত, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছে সরকার। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। তদন্তে দলীয় রাঘব বোয়ালদের নাম উঠে আসছে। দলীয় পরিচিতির কারণে সরকার নাম প্রকাশ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে সরকার জড়িত। সরকার নতুন করে যাঁদের ব্যাংকের লাইসেন্স দিয়েছে, দলীয় বিবেচনায় যাঁরা এই ব্যাংকের মালিক তাঁরা অনেকেই মন্ত্রী-এমপি। তাঁরা ব্যাংক পাওয়ার যোগ্য নন। তাঁরা এই টাকা কোথায় পেলেন এই হিসাব জনগণ জানতে চায়। তাই আমি মনে করি, ব্যাংকগুলোও দলীয়করণ করা হয়েছে।
কালের কণ্ঠ : বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের দক্ষতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আপনার মূল্যায়ন কী? আপনার কি মনে হয় মন্ত্রীদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ম্লান হয়েছে বা হচ্ছে?
জয়নুল আবদিন ফারুক : মন্ত্রীদের নিয়ে নানাজন নানা কথা বলে। আমার মত, অনভিজ্ঞ মন্ত্রী দ্বারা দেশ পরিচালনায় সরকার ব্যর্থ। এ সরকারের ভাবমূর্তি ম্লান হয়েছে। অনেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা ও এমপির দেশের স্বার্থের চেয়ে অর্থের প্রতি লোভ বেশি। ইতিমধ্যে অনেক মন্ত্রী ও উপদেষ্টার দুর্নীতি ও অপকর্ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, বর্তমান সরকার সঠিকভাবে দেশ চালাতে পারছে না।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি কতটুকু দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারছে? সেই দায়িত্বশীলতার প্রতিফলন কোথায়?
জয়নুল আবদিন ফারুক : আমি মনে করি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বর্তমান প্রেক্ষাপটে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। গণমাধ্যম, সভা-সমাবেশ ও বিভিন্ন মিডিয়ায় আলোচনার মাধ্যমে সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরতে পারছে। দেশ পরিচালনা করা সরকারের দায়িত্ব। আর সরকারের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরা বিরোধী দলের দায়িত্ব। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন। দেশ ও মানুষের কথা বলছেন। দেশের সংকটের কথা বলছেন। সরকার কানে তুলা দিয়ে রেখেছে।
কালের কণ্ঠ : বিএনপি নেতাদের নামে অনেক মামলা হয়েছে। অনেককে তো জেলে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। এ পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করবেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : জুলুম, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, হামলা, হত্যা, গুম, খুন- এই সরকারের বিশেষ গুণ। ঘরে খুন বাইরে গুম। এই সরকারের আমলে অহরহ এ ঘটনা ঘটছে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দিয়েছে আন্দোলন বন্ধ করার জন্য। আন্দোলন বন্ধ হবে না। মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
কালের কণ্ঠ : বিরোধী দলের জোট সম্প্রসারিত হয়েছে। এই জোট দেশের রাজনীতিতে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : মহাজোটের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আজ সোচ্চার। তাই অন্যান্য দল নিয়ে মহাজোটের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও ক্ষমতা থেকে তাদের বিতাড়িত করার জন্য এই জোট সম্প্রসারিত হয়েছে। অতীতের মতো এই জোট রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে এবং আন্দোলনকে বেগবান করবে। এই জোট অবশ্যই মহাজোটের জন্য হুমকি।
কালের কণ্ঠ : ঈদের পর বিরোধী দলের কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে যেন ধীরে চলো নীতিই নিয়েছে বিরোধী দল। এটা কি রাজনৈতিক কৌশল, নাকি নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত?
জয়নুল আবদিন ফারুক : বিএনপি ধীরনীতিতে আন্দোলনের কৌশল নিয়েছে। সব অন্যায়-অত্যাচার, অবিচার, হত্যা, মামলা-হামলা সহ্য করে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও নীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। এই দলকে জনগণ বিশ্বাস করে অতীতে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। জনগণই আবার এই দলকে ক্ষমতায় বসাবে।
কালের কণ্ঠ : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। এই বিচার-প্রক্রিয়াকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু এ জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানের কি না, এর স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে।
কালের কণ্ঠ : দেশের বর্তমান রাজনীতি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন কি আসছে? দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সংলাপের বিকল্প নেই- এমন কথা বলছেন অনেকেই। আপনার কী মত?
জয়নুল আবদিন ফারুক : বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে। রাজনীতিবিদদের আলাপ-আলোচনার মধ্যেই সংকট দূর করা যায়। বর্তমান সরকারের কারণে রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। ১১ জানুয়ারির সরকার আওয়ামী আন্দোলনের সরকার। লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে নির্বাচন বানচাল করে আওয়ামী লীগ ১/১১ সৃষ্টি করেছে এবং জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই তারা আবারও ১/১১ সৃষ্টি করতে চায়, তৃতীয় শক্তির কথা বলে। তৃতীয় শক্তি বা ১/১১ সৃষ্টি হোক- এটা কাম্য ও প্রত্যাশিত নয়। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন জনগণের একটিই দাবি- কেয়ারটেকার সরকার। কেয়ারটেকার সরকার সংবিধানে সংযুক্ত করলে এবং সব দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন দিলেই রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাবে।
কালের কণ্ঠ : পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক নাটক তো হলো। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী আবুল হোসেন পদত্যাগ করলেন। পদ্মা সেতু ও বিশ্বব্যাংকের ঋণসহায়তা বাতিল নিয়ে যে ঘটনাপ্রবাহ, এ প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।
জয়নুল আবদিন ফারুক : পদ্মা সেতু নিয়ে কেলেঙ্কারি বাংলাদেশ ও বিশ্বের কাছে একটি আলোচিত বিষয়। শুধু আবুল হোসেনের পদত্যাগেই সমস্যার সমাধান হবে না, এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হলে সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি।
কালের কণ্ঠ : বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির গতি-প্রকৃতি কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে দেশ পরিচালনা করা যায় না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি হওয়া উচিত। কেউ কেউ বন্ধু হবেন, কেউ কেউ প্রভু হবেন- এ রকম পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।
কালের কণ্ঠ : আগামী নির্বাচনের দিকে অনেকের দৃষ্টি থাকবে। কারণ নির্বাচনের আগেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। নির্বাচনের খুব বেশি দেরিও নেই। হিসাব করলে এখন তো ঘর গোছানোর সময়। বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি কেমন?
জয়নুল আবদিন ফারুক : বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। কারচুপি, সন্ত্রাসের নির্বাচনে বিএনপি বিশ্বাস করে না। জনগণের রায়েই অতীতে বিএনপি সরকার গঠন করেছে। তাই একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে বিএনপি সব সময় প্রস্তুত।
কালের কণ্ঠ : দেশের সাধারণ মানুষ কেমন আছে বলে মনে হয় আপনার? বাংলাদেশেকে ভবিষ্যতে কী অবস্থায় দেখতে চান? আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশের কথা বলুন। আগামী দেড় বছরে দেশ ও দেশের মানুষের ব্যাপারে সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
জয়নুল আবদিন ফারুক : দেশের সাধারণ মানুষ সুখে নেই, শান্তিতে নেই। দেশের সব মানুষ সরকারের কাছে চায় সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য। একাত্তরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমি চাই, সেই দেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো হবে- এটাই আমার স্বপ্ন। আমার প্রত্যাশা, দেড় বছর সময়ের আগেই সরকার পদত্যাগ করুক। নিজেদের মান রক্ষা করুক, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করুক। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করুক। বিচার বিভাগ স্বাধীন রাখুক। বিচার বিভাগ এবং সংসদ নিয়ে রেষারেষি বন্ধ করুক। অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার পদত্যাগ করুক।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জয়নুল আবদিন ফারুক : কালের কণ্ঠের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.