বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড গোলাম আযমের অনুমোদনেই হয়েছিল- যুদ্ধাপরাধী বিচার- সুলতানা কামালের জেরা

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তৃতীয় সাক্ষী এ্যাডেভোকেট সুলতানা কামালকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী।


জেরায় সাক্ষী বলেছেন, গোলাম আযম জামায়াতের তৎকালীন জামায়াতের আমির ছিলেন, তাঁর অনুমোদন নিয়েই এসব হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে। এ জন্য সব অপরাধের দায়দায়িত্ব গোলাম আযমের ওপর বর্তায়। জামায়াতের এই সাবেক আমিরের বিরুদ্ধে দালাল আইনের দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় এবং তাকে অবাঞ্ছিত করা হয়। সেটি সরকারী না রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল আসামিপক্ষের আইনজীবীর এমন প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, ‘সে সময় সাধারণ মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন ছিল এটি। বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষী জেরায় এ কথা বলেছেন।
একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে চতুর্থ সাফাই সাক্ষী আবুল হোসেন জবানবন্দী প্রদান করেছেন। পরে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী তাকে জেরা করেন। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার তরিখ থাকলেও তাকে পরবর্তী তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পক্ষের ৭ম সাক্ষীর জবানবন্দী দেয়ার কথা থাকলেও সাক্ষী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় জবানবন্দী হয়নি। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই দিন নির্ধারণ করেছেন।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তৃতীয় সাক্ষীর জেরার পরে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিপক্ষের জেরার জবাবে সাক্ষী সুলতানা কামাল বলেছেন পাকিস্তানের অখ-তার নামে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে পরিচালিত সকল কার্যক্রম ও হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন গোলাম আযম। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশমতোই এসব কর্মকা- সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া আলবদরপ্রধান মতিউর রহমান নিজামীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছিল। গোলাম আযম ছিল এই হত্যাকা-ের পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা।’
বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১-এ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষী সুলতানা কামালকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়েছে। আজ আবার তাকে জেরা করবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। জেরায় সাক্ষী সুলতানা কামাল বলেছেন, কখনও এ ধরনের গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা মানুষকে জানিয়ে হয় না। এ জন্য বলা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, এমন কোন প্রামাণ্য তথ্য তাঁর কাছে নেই। তবে সংগঠনের প্রধান হিসেবে নেতাকর্মীদের কোন কাজ তাঁর অনুমোদন ছাড়া হওয়া সম্ভব নয়। তদুপরি এমন কিছু দেখা যায় না, যাঁরা হত্যাকা- ঘটিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাজেই এটা স্পষ্ট যে সংগঠনের প্রধানই এ কাজের জন্য দায়ী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, জামায়াতের এই সাবেক আমিরের বিরুদ্ধে দালাল আইনের দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় এবং তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। সেটি সরকারী না রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিলÑ আসামিপক্ষের আইনজীবীর এমন প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, ‘সে সময় সাধারণ মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন ছিল এটি। জেরার জবাবে সাক্ষী বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে শান্তি কমিটির সদস্য যেসব অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন তাতে ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তি বা পরিবারের নাম বা পরিচয় আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে দেইনি। গোলাম আযম বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা কবে, কোথায় করেছিলÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে সুলতানা কামাল বলেন, আমি তারিখ বলতে পারব না। তবে এসব হত্যাকা- ছিল গুপ্তহত্যা। তাই এর পরিকল্পনা কবে, কোথায় হয়েছিল তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবার কথা নয়।
রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটি জামায়াতে ইমলামীর অঙ্গসংগঠন কিনা এমন প্রশ্নেœর উত্তরে সাক্ষী বলেন, এসব বাহিনীকে কাঠামোগতভাবে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন বলা যাবে না। তবে এসব বাহিনী গঠনে জামায়াতে ইসলামীর মুখ্য ভূমিকা ছিল। শান্তিবাহিনীর কোন্দ্রীয় কমিটির প্রধান এবং সদস্য সচিব জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ছিল কিনা এ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই, তবে গোলাম আযম শান্তি কমিটির মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
শান্তি কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে গোলাম আযম যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা ১৯৭১ সালের ৫ ও ৭ তারিখে পূর্বদেশ ও দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল বলে জেরায় সাক্ষী বলেন। পাকিস্তানের একজন প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, তবে তার নাম জানা নেই। বুদ্ধিজীবী হত্যার সময় গোলাম আযম পূর্ব পাকিস্তানে ছিলেন কিনাÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে সুলতানা কামাল বলেন, হয়ত ছিলেন না, তবে তিনি ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মূল করতে শান্তি কমিটিই যথেষ্ট।
নিম্নে জেরার অংশ বিশেষ দেয়া হলোÑ
প্রশ্ন : শহীদুল্লাহ কায়সার হত্যা মামলায় জামায়াতের একজনের নাম ছিল।
উত্তর: হত্যাকারীর নাম খালেক মজুমদার।
প্রশ্ন: জামায়াত নেতা খালেক মজুমদার এবং আলবদর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
উত্তর: জি।
প্রশ্ন: এই মামলার নিম্ন আদালতে থেকে দ-াদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত খালাস দিয়েছিল। এবং রাষ্ট্রপক্ষ ঐ মামলায় আলবদর প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। এটা ঐ রায়ে উল্লেখ আছে?
উত্তর : আছে।
প্রশ্ন : বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলা হলে অভিযোগপত্রে কোথাও গোলাম আযমের নাম নেই।
উত্তর : এটার সঙ্গে ঐ মামলার বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আসামি করা হয়নি। কারণ সেগুলো এককভাবে হত্যা মামলায় হিসেবে দায়ের করা হয়েছিল। আজকে যে সাক্ষ্য সেগুলোর প্রেক্ষিত নয়। সামগ্রিকভাবে ’৭১ সালে গণহত্যা সময়ে গোলাম আযমের এর ভূমিকা নিয়েই বলা হয়েছে।
প্রশ্ন : ’৭২ সালে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
উত্তর : হয়েছিল। এবং পরে তাকে অবাঞ্ছিত করা হয়েছিল।
প্রশ্ন : অবাঞ্ছিত ঘোষণা কি রাজনৈতিক কারণে হয়েছিল। না সরকার কোন পদক্ষেপ নিয়েছিল।
উত্তর : তখনকার অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গোলাম আযমের যে ভূমিকা ছিল সেই পরিপ্রেক্ষিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। এবং পালিয়েও গিয়েছিল।
প্রশ্ন : এই মামলাগুলো হত্যা ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ আনা হয়েছিল কিনা।
উত্তর : উল্লিখিত মামলা ২টিতে কমপ্লিসিটির (সম্পৃক্ততার) অভিযোগ আনা হয়েছিল।
প্রশ্ন : এই মামলা দুটির অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছিল কিনা।
উত্তর : পরে আর বিস্তারিত খবর রাখিনি। ফলে অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছিল কিনা জানি না।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরই বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের বিষয়ে একটি সরকারী ও একটি বেসরকারী পর্যায়ে একাত্তর সালে তদন্ত কমিটি হয়েছিল স্মরণে আছে।
উত্তর : সরকার ও বেসরকারী পর্যায়ে উদ্যোগ ছিল। মনে আছে ঐ সময় হত্যাকা- নিয়ে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে তা কতদূর পর্যন্ত হয়েছে তা জনি না। তবে জনমতের চাপে ৭৩ সালে বর্তমান আইনটি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ৭৩ প্রণীত হয়।
প্রশ্ন : জহির রায়হান বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের একটি নাগরিক কমিটি গঠন করেছিলেন।
উত্তর : জহির রায়হান বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য অনেক কিছু করার চেষ্টা করছিলেন। একটি নাগরিক কমিটি গঠন করেছিলেন।
প্রশ্ন : এই কমিটির উদ্যোগ নেয়ার ২/১ জনের নাম বলতে পারবেন।
উত্তর : এই কমিটির কারও সঙ্গে আমার সেভাবে দেখা হয়নি। উল্লেখযোগ্য একজন ছিলেন শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার আমার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হবার পরে পূর্ব পাকিস্তানে সর্বশেষ গবর্নর মালেক মন্ত্রিসভার সদস্যদের আত্মসমর্পণ করার পর গবর্নর আব্দুল মালেক দালাল আইনে বিচার হয়েছিল।
উত্তর : উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বিচার শেষ হয়েছিল কিনা জানি না।
প্রশ্ন : দালাল আইনে বিচার না করার আবেদন জানিয়ে মালেক সাহেব জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী বিচার করার জন্য আবেদন করেছিল।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : মালেক সাহেবের দালাল আইনে বিচারের বিরোধিতা করে তৎকালীন রাজনৈতিক দল বিবৃতি দিয়েছিল।
উত্তর : বলতে পারব না।
প্রশ্ন: শহীদুল হক মামা নামে কাউকে চিনেন?
উত্তর: না।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ টিভি থেকে প্রচারিত রণাঙ্গনের দিনগুলো নামে একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে।
উত্তর : এ রকম অনুষ্ঠান হচ্ছে জেনেছি তবে সময়ের অভাবে দেখিনি।
প্রশ্ন : নাসির উদ্দিন ইউসুফ সাহেবের সঙ্গে পরিচয় আছে। ঐ অনুষ্ঠানের উনি উপস্থাপক।
উত্তর : পরিচয় আছে।
প্রশ্ন : ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে মিরপুর মুক্ত হয় ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
উত্তর: স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গা অবরুদ্ধ ছিল। আস্তে আস্তে তা দখলমুক্ত হয়। সঠিক তারিখ মনে নেই।
প্রশ্ন : মিরপুর দখলমুক্ত হবার পর গ্রেফতারকৃত এক অবাঙালীর তথ্য মতে পাকিস্তানের এক সাবেক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
উত্তর : পাকিস্তানের একজন সাবেক মন্ত্রী বাড়ি থেকে দলিলপত্র পাওয়া গিয়েছিল। তবে কার তথ্য মতে তা মনে নেই।
প্রশ্ন: একাত্তর সালে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী পাকিস্তানের অখ-তা ও সংহতির পক্ষে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
উত্তর: অনেকের সঙ্গে বিবৃতি স্বাক্ষর করেছিলেন।
প্রশ্ন: ২২ নবেম্বর ’৭১-এর পরে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সময় গোলাম আযম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ছিলেন না।
উত্তর : আমি জানি ১ ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং বলেছেন মুক্তিবাহিনীকে নির্মূল করতে রাজাকারই যথেষ্ট।
প্রশ্ন: যে অঞ্চলে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ সেই অঞ্চল থেকে রাজা ত্রিদিব রায় এমএলএ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উত্তর: জি।
প্রশ্ন: ঐ সময় বৌদ্ধগুরু ছিলেন বিশুদ্ধনন্দ মহাথেরো।
উত্তর: জি।
প্রশ্ন: এ দু’জন ব্যক্তি প্রথম পাকিস্তান অখ-তার বিশ্বাস করতেন। এবং অখ-তার জন্য কাজ করেছেন।
উত্তর:জি।
কামারুজ্জামান
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পক্ষের ৭ম সাক্ষীর জবানবন্দী দেয়ার কথা থাকলেও সাক্ষী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় জবানবন্দী হয়নি। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

সাঈদী
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে চতুর্থ সাফাই সাক্ষী আবুল হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দী শেষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী তাকে জেরা করেছে।
জবানবন্দীতে আবুল হোসেন বলেন, ১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যশোরের নিউটাউন এলাকায় সাঈদী সাহেবের পরিবার এবং আমাদের পরিবার পাশাপাশি বসবাস করতাম। বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে তিনি তার জবানবন্দীকালে এ কথা বলেন। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম আবুল হোসেন (৫৬), পিতা মৃত হযরত আলী।

No comments

Powered by Blogger.