ওষুধের দাম হঠাৎ গলাকাটা by তৌফিক মারুফ ও নূপুর দেব

'ওষুধ কম্পানিডি কি মগের মুল্লুক পাইয়া লইচ্ছে নাক্কি? ডেইলি ডেইলি ওষুধে দাম খালি বাড়াইবারই লাগছে! সরকারের কি চক্ষু নাইক্কা? এই সব দ্যাখবো ক্যাট্ঠা? সোনার থেইক্কাও অহনে কি ওষুধের দাম বেশি অইবার লাগছে!' পুরান ঢাকার শাহী মসজিদের কাছে একটি ওষুধের দোকানে দাঁড়িয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মধ্যবয়সী সেলিম শাহ।


এক হাতে এক বোতল অ্যান্টাসিড প্লাস, আরেক হাতে সাদা লুঙ্গির কোঁচা ধরে স্থানীয় ভাষায় গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলেন তিনি।
কী হয়েছে জানতে চাইলে ওষুধ বিক্রেতা একগাল হেসে বললেন, 'কী আর হবে? অ্যান্টাসিড প্লাস সিরাপের দাম বেড়েছে শুনে উনি রেগে গেছেন। বলেন তো, কম্পানি যদি ওষুধের দাম বাড়ায় তাহলে আমাদের কী করার আছে? কয়েক দিন ধরেই বড় বড় কম্পানিগুলো তাদের অনেক ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমরা সেই বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করতে গেলেই ক্রেতারা খেপে গিয়ে নানা কথা শোনান।'
দেশের সবচেয়ে বড় ওষুধের বাজার মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন ধরেই কিছু কিছু কম্পানি দু-একটি করে ওষুধের দাম বাড়ানো শুরু করে। তবে ১ মার্চ থেকে হঠাৎ করেই বেশির ভাগ বড় কম্পানি গণহারে ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনো কোনোটার দাম গত মাসের চেয়ে ২৫-৩০ শতাংশও বেড়ে গেছে। এ নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বিষয়টিকে দেখছেন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের অতি মুনাফালোভী আচরণ হিসেবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে এ দেশে কোনো কোনো ওষুধের দাম ২০০ গুণেরও বেশি বেড়েছে, বিশ্বে যার নজির নেই। মিটফোর্ডের পাশাপাশি মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি, মালিবাগ, রামপুরা, কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওষুধের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধের দাম হঠাৎ করে গলাকাটা হয়ে যাওয়ার চিত্র।
একই অবস্থা দেখা যায় চট্টগ্রামেও। পাইকারি বাজার হাজারিগলির ছোট-বড় প্রায় ৩০০টি ওষুধের দোকান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশপাশে আরো শতাধিক ফার্মেসিসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা গেছে, গত মাস থেকে বিভিন্ন কম্পানি তাদের ওষুধের সরবরাহ চাহিদার চেয়ে কমিয়ে দিয়েছিল। তখন থেকেই অনেক পাইকারি ও খুচরা বাজারের কিছু ফার্মেসি মালিক ওষুধের দাম বাড়াতে শুরু করেন। যে যেভাবে পেরেছেন, বাড়তি দামে ওষুধ বিক্রি করেছেন। কিন্তু ১ মার্চ থেকে বড় কম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়ানোর বিষয়টি পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অবহিত করে। ঘুরে দেখা যায়, অনেক ওষুধের প্যাকেটে নতুন দামের উল্লেখ নেই। কিছু প্যাকেটে আগের দামের ওপর নতুন দামের স্টিকার সাঁটানো হয়েছে। কিছু কিছু কম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভরা পাইকারি ও খুচরা দোকানে গিয়ে দাম বাড়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। নতুন দামে কী কী ওষুধ বিক্রি করতে হবে, তা-ও সাদা কাগজে লিখে দিয়েছে কিছু কম্পানি। কোনো কোনো কম্পানি তাদের ২৫টির মতো আইটেমেরও দাম বাড়িয়েছে।
দাম বাড়ানোর নমুনা : ঢাকা ও চট্টগ্রামের ওষুধের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের রক্তচাপের ট্যাবলেট ওসারটিল (৫০ মি.গ্রা.) একেকটি ছয় টাকা থেকে বেড়ে আট, ওসারটিল প্লাস, ওসারটিল ১০০ মি.গ্রা. ও প্লাস প্রত্যেকটি দুই টাকা করে বেড়েছে। ট্রাইডোসিল ইনজেকশন প্রতিটি ৩০০ থেকে বেড়ে ৪৬০ টাকা, লিভোঙ্নি সিরাপ প্রতিটি (১০০ মি.লি.) ৭৫ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, মিউকোলিট সিরাপ (১০০ মি.লি.) ১০ টাকা বেড়ে ৪০, ফিক্সোকার্ড (৫০ মি.গ্রা.) সাড়ে চার টাকা থেকে ছয়, রিজারভিক্স (১০০ এমজি) এক টাকা বেড়ে চার, মায়োলাক্স (৫০ মি.গ্রা.) তিন টাকা থেকে চার, টিমোজিন (৫০ মি.গ্রা.) এক টাকা বেড়ে পাঁচ টাকা, এমবোলিট (১০০ মি.লি.) কাশির সিরাপের দাম ১০ টাকা, ম্যাগফিন (১০০ মি.লি.) ওরাল সিরাপ ৩৫ টাকা, ওনাসেরন (৫০ মি.লি.) ১০ টাকা এবং মারলক্স প্লাস (২০০ মি.লি.) সিরাপের দাম ১৫ টাকা বেড়েছে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাশির ওষুধ টোফেন (১ মি.গ্রা.) ট্যাবলেট প্রতিটি এক টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে দুই টাকা, টোফেন সিরাপ (১০০ মি.লি.) ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে। ফ্রেনজিট ট্যাবলেট (০.৫ মি.গ্রা.) ৫০ পয়সা, প্যানটোবেক্স এক টাকা, প্রোসান (৫০ মি.গ্রা.) দুই টাকা, প্রোসান এইচ জেড দুই টাকা, অ্যামডোকল প্লাস (৫০ মি.গ্রা.) এক টাকা ৫০ পয়সা, অ্যামডোকল (৫০ মি.গ্রা.) এক টাকা করে বেড়েছে।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সেফট্রোন (এক গ্রাম/ভায়াল) অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন ৩০ টাকা, সেফট্রোন (৫০০ মি.গ্রা.) ও (২৫০ মি.গ্রা.) ইনজেকশন ১০ টাকা করে বেড়েছে। ফ্লেক্সি ১০০ এমজি ট্যাবলেট প্রতি এক টাকা, নেক্সাম ৪০ এমজি ইনজেকশন প্রতি ৩০ টাকা, ক্যামলোডিন ৫০ প্লাস ট্যাবলেট প্রতি এক টাকা ৫০ পয়সা, অফকপ সিরাপ ১০০ এমএল পাঁচ টাকা, মিউকোস্পেল ১০০ মিলি সিরাপ প্রতি ১০ টাকা, এমব্রোক্স ১০০ মিলি সিরাপ ১০ টাকা, তুসকা ১০০ মি.লি. সিরাপ পাঁচ টাকা ও মালটিভিট প্লাস (৩০টি) প্রতি বোতল ১০ টাকা করে বেড়েছে। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডাইসোপিন ইনজেকশন (এক গ্রাম) ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০ টাকা, একই ইনজেকশন ২৫০ মি.গ্রা. ও ৫০০ মি.গ্রা. ১০ টাকা করে বেড়েছে।
রেনেটা লিমিটেডের ট্যাবলেট আলফা প্রেস এক ও দুই মি.গ্রা. এক টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি অ্যালজিন ইনজেকশন পাঁচ মি.গ্রা. পাঁচ টাকা, ডেক্সাইনজেকশন পাঁচ মি.গ্রা. ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা, প্রতিটি ক্রিপটিন ২.৫ মিলি গ্রামের ট্যাবলেট ১০ টাকা ৪ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকায়, ক্যালসিন ৫০০ এমজি প্রতি ট্যাবলেট ৯০ পয়সা, বিগমেট ৫০০ এমজি ৫০ পয়সা, প্রোটেনিল ২০ এমজি ও ৪০ এমজি এক টাকা করে বেড়েছে।
সারা দেশেই প্রভাব : ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশালসহ সারা দেশেই একইভাবে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। ওষুধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি খুবই জটিল। ভোক্তাদের অন্ধকারে রেখে দাম বাড়ানোর ফলে মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতি কাটানোর জন্য সরকারের উচিত ওষুধ প্রস্তুতকারী, বিক্রেতা, নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ও ওষুধের মূল ভোক্তা বা ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল একটি কার্যকর মূল্য নির্ধারণ ও মনিটরিং কাঠামো তৈরি করা।
অধ্যাপক ফারুক বলেন, 'এবার দাম বাড়ানোর বিষয়টি জানার পর খোঁজখবর নিতে গিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে জানতে পারলাম, দেশে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে ওষুধের কাঁচামালের দাম বাড়েনি। অর্থাৎ বিদেশে যদি কোনো ওষুধের একটি কাঁচামালের দাম ১০০ ডলার থাকে, এখনো তা ১০০ ডলারই আছে, কিন্তু বাংলাদেশে যেহেতু ডলারের দাম বেড়ে গেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশীয় টাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ জন্যই ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।'
অবশ্য অধ্যাপক ফারুক এ ক্ষেত্রে কম্পানিগুলো যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করেছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ডলার আর টাকার সমন্বয় হারের সঙ্গে ওষুধের দাম বৃদ্ধির হার কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা দেখার দায়িত্ব সরকারের ওষুধ অধিদপ্তরের। কিন্তু তারা এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছে বলে মনে হয় না।'
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুক্তাদির কালের কণ্ঠকে বলেন, ওষুধের দাম বেড়েছে বলা ঠিক নয়, বলা যায় শতকরা মাত্র ৫ ভাগের মতো ওষুধের দাম কিছুটা সমন্বয় করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে ডলারের মূল্যমানের সঙ্গে টাকার মূল্যমানের ব্যবধান, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ আরো কিছু কারণে।
তবে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওষুধের কাঁচামাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন ব্যবসায়ী জানান, 'ওষুধের কাঁচামালের দাম আর ওষুধের দামের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। কম্পানিগুলো ওষুধ নিয়ে অতিমাত্রায় মুনাফা করছে। বিশ্বের অন্য দেশে ওষুধের দাম বেশি হওয়ার যেসব কারণ থাকে, এখানে সেসব কারণ নেই। উন্নত বিশ্বে একজন কেমিস্ট বা শ্রমিকের যে বেতন, আমাদের এখানে সে হারে না। অন্যান্য খরচও কম। এমনকি এখন এ দেশেও অনেক কাঁচামাল তৈরি হয়। তাহলে এখানে দাম বাড়বে কেন?
বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক এ এস এম মনির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কোনো দেশেই প্রতিবছর ওষুধের দাম বাড়ানোর নজির নেই। কয়েক বছর আগেও যে অ্যান্টাসিড সিরাপ মাত্র ২০-২২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, আমরাই বুঝতে পারছি না, অ্যান্টাসিডের কাঁচামালের দাম বা উৎপাদন খরচ কি এতটাই বেড়েছে যে ওষুধের দাম ২০০-৩০০ গুণ বেড়ে যাবে!'
সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রুহুল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৯৪ সালে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার মাত্র ১১৭টি আইটেমের দাম নিয়ন্ত্রণ বা নির্ধারণের ব্যাপারে তাদের ক্ষমতা দিয়েছে। বাকি সব ওষুধের দাম নির্ধারণের বিষয়টি স্ব স্ব কম্পানির ওপর ছেড়ে দিয়েছে। তারা কেবল আমাদের দপ্তর থেকে দাম বৃদ্ধি অনুমোদন করানোর জন্য নিয়ে আসে। এ ক্ষেত্রে আমাদের খুব একটা কিছু করার থাকে না। তবে এখন যদি খুব অস্বাভাবিক কিছু হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে করণীয় ভেবে দেখা যেতে পারে।'
তবে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ওষুধ ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা লাভের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কম্পানি যতটা দাম বাড়ায় তার ওপর আবার বাড়তি চাপ তৈরি করে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। তারা নিজেরাও দাম বাড়ানোর নানা কৌশল প্রয়োগ করে। ফলে কম্পানি ও বিক্রেতাদের কাছে এক রকম জিম্মি থাকে সাধারণ ক্রেতারা।
দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হয়নি জানিয়ে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি সমীর কান্তি শিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওষুধ প্রস্তুতকারক কম্পানির মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সঙ্গে কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির দীর্ঘদিন ধরে একটি চুক্তি ছিল- বাজারে ওষুধের দাম বাড়ানো ও কমানোর এক মাস আগে জানাতে হবে। এত দিন ধরে সেভাবে চলে এলেও এবার দাম বাড়ার আগাম কোনো নোটিশ ছাড়াই অধিকাংশ কম্পানি বেশির ভাগ আইটেমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সংগঠন থেকে এর প্রতিবাদ জানাব।'
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রোগীর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএমএ)-এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সারফুদ্দিন আহম্মেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, কম্পানিগুলো কোনো অবস্থাতেই খেয়ালখুশি মতো ওষুধের দাম বাড়াতে পারে না। আগে থেকে নোটিশ দিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে তারপর দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারে। কম্পানি মালিকদের মনে রাখা উচিত, তাঁরা অন্য কোনো বাণিজ্য নয়, সেবামূলক ব্যবসায় নিয়োজিত। ফলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সে রকমই হওয়া উচিত।'
সারফুদ্দিন আহম্মেদ আরো বলেন, সরকারের ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকার কোনো সুযোগ নেই। তাদের উচিত দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।

No comments

Powered by Blogger.