দ্বিতীয় জীবন পেলে গানে সুর বাঁধবেন সু চি

গৃহবন্দি ছিলেন প্রায় দুই দশক। একটি দেশের গণ-আন্দোলন গড়ে উঠছে এবং তা তাঁকেই কেন্দ্র করে। দ্বিতীয় একটি জীবন পেলে এমন মানুষ কী চাইতে পারেন?
এমনই এক প্রশ্নের জবাবে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি একটুও না থেমে বললেন, ‘কম্পোজার! আমি কম্পোজার হতে চাই।’ কারণ, গৃহবন্দি থাকার সময় অনেকবারই তাঁর মনে হয়েছে, যদি তৈরি করতে পারতেন সুর, সুর দিতে পারতেন গানে!
সব ধরনের গানই শোনেন সু চি, তবে বিশেষ পছন্দ পশ্চিমা ধ্রুপদি সংগীত। ‘ভারতীয় রাগের খুঁটিনাটি বুঝি না, তবে ভাল লাগে। কিন্তু সুরের ব্যাপারে নিজে কিছুই করতে পারি না। কোনো ক্ষমতাই নেই। মিউজিক্যালি আই অ্যাম নট গিফটেড। তাই মনে হয়, দ্বিতীয় একটা জীবন পেলে কম্পোজার হতাম।’
গত বছরের ১৩ নভেম্বর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তাঁকে মুক্তি দেয়। তারপর চার মাস ধরে দেশে গণ-আন্দোলন সংগঠনে মন দিয়েছেন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী সু চি। আর এসবের মাঝেই গান শুনছেন, পড়ছেন কবিতা। কার? হাফিজের? ‘পারস্যের এই কবি তো আশাবাদের কবি।’
গৃহবন্দি থাকার সময় রেডিও ছিল বহির্জগতের সঙ্গে সু চির যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এখন মুক্তি পাওয়ার পরও টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার তো ডিশ-সংযোগ নেই। তাই টিভি অন করলে শুধু দেশের চ্যানেলগুলোই আসে। তাতে তো শুধুই সরকারের প্রচার। তাই আর টিভি দেখতে ইচ্ছে করে না।’

No comments

Powered by Blogger.