স্যামিও অবাক

এই বাংলাদেশ যেন অচেনা তাঁর কাছেও। কাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ড্যারেন স্যামি খোলাখুলিই বললেন, এভাবে তাঁর দল জিতবে, সেই আশা তিনিও করেননি, ‘আমরা জিতেছি ঠিক আছে। কিন্তু এত সহজে জিতব, সেটা আশাই করিনি। তবে আজ আমরা দেখিয়ে দিয়েছে, সবাই পুরো একটা দল হয়ে খেললে আমাদের পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।’
কিন্তু কী রহস্য এই সাফল্যের? বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের নির্বুদ্ধিতা? আত্মহননের প্রবৃত্তি? নাকি সেটা করতে বাধ্য করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররাই? সহজ-সরল স্যামি অবশ্য বেশি ঘোরপ্যাঁচে গেলেন না, ‘আমরা আসল কাজগুলো ঠিকঠাক করতে চেয়েছি। ঠিক জায়গায় বল ফেলেছি। আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে।’
তাঁর অধিনায়কত্বেরও প্রশংসা করছেন অনেকেই। স্যামি নিজেও আজ বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধ্বংসযজ্ঞে। গেইলের উপস্থিতির পরও এই দলে ধীরে ধীরে যেন নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। স্যামি মানলেন, ‘নিজের ওপর আমার আস্থা আছে। অধিনায়ক হিসেবে আপনি সব সময়ই ভালো খেলতে চাইবেন। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি বলেই এই ফল পেয়েছি। এখন আমাকে ধারাবাহিক হতে হবে।’
পর পর দুই ম্যাচে দুটি দাপুটে জয় কি তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও ফেবারিট করে তুলল? র্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বরে থাকা দলটির অধিনায়ক অবশ্য বাস্তববাদী, ‘দেখুন, সবকিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। কোচ আর আমি মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা জানি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গৌরবময় একটা ইতিহাস আছে। আমরা তাই ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে হাঁটছি। এই মুহূর্তে আসলে আমরা অনেক দূরে তাকাচ্ছি না। আগেও বলেছি, আমরা একটা একটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। এখন আমাদের লক্ষ্য তাই আয়ারল্যান্ড।’
সর্বশেষ এই বাংলাদেশের কাছে লজ্জায় ডুবেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। খর্বশক্তির ওই দলটি টেস্ট-ওয়ানডেতে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশ। স্যামি নিজেও খেলেছেন ওই দলে। কাল কি তবে প্রতিশোধ নিলেন? স্যামির উত্তর, ‘সুইট রিভেঞ্জ!’

No comments

Powered by Blogger.