কিউইদের কাছে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে

অলক্ষ্যে একটা মৃদু ভূমিকম্প হয়েছিল কাল। পৃথিবীর কোনো রিখটার স্কেলে মাপা যায়নি সেই ভূমিকম্পের মাত্রা। টের পেয়েছিল কেবল দুটো দল। মিরপুরে বাংলাদেশ, আহমেদাবাদে জিম্বাবুয়ে!
পার্থক্যও আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামের সেই ভূমিকম্পের আঘাতে বাংলাদেশের ইনিংসে ভেঙে পড়েছে তাসের ঘরের মতো। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও লড়াই করে স্কোরটাকে একটা ভদ্রস্থ চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করেছে জিম্বাবুয়ে। ষষ্ঠ, অষ্টম আর নবম—এই তিন উইকেট জুটিতে ১০৮ রান আসায় অলআউট হওয়ার আগে ১৬২ পর্যন্ত গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
পরিণতি অবশ্য একই। নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটেই হারতে হয়েছে। মার্টিন গাপটিলের ৮৬ আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৭৬ নির্বিঘ্নে নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দিয়েছে জয়ের বন্দরে।
শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুটো পাওয়ার প্লের ১৫ ওভারেই তারা হারায় ৫ উইকেট। শুরুটা হয়েছিল রানের খাতা খোলার আগে চার্লস কভেন্ট্রির বিদায়ে। এর মধ্যে ড্যানিয়েল ভেট্টোরির করা ১৫তম ওভারের প্রথম আর তৃতীয় বলে এলটন চিগুম্বুরা আর রেজিস চাকাভা বিদায় নিলে ৫০ রানের আগেই ৫ উইকেটের পতন।
প্রথম প্রতিরোধ ষষ্ঠ উইকেটে। ব্রেন্ডন টেলর আর গ্রেগ ল্যাম্ব মিলে যোগ করেন ৪০ রান। স্টাইরিস এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন টেলরকে। খানিক পরে ভেট্টোরির দুর্দান্ত রানআউটের শিকার ল্যাম্ব। জিম্বাবুয়ে ৮৯/৭। এরপর শুরু হয় সাবেক অধিনায়ক প্রসপার উতসেয়ার প্রতিরোধ। ক্রেমারের সঙ্গে ৩৩ আর প্রাইসের সঙ্গে যোগ করেন ৩৫ রান। প্রাইস-উতসেয়া দুজনকেই তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৬২ রানে আটকে ফেলেন টিম সাউদি।
বছর তিনেক আগে একবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে ফেলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কাল লক্ষ্যটা অবশ্য একটু বড় ছিল। তা ছাড়া গত ম্যাচে শোকসন্তপ্ত নিউজিল্যান্ড হেরেও গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দেশের মানুষের জন্য একটা জয় এনে দিতে চেয়েছিলেন ভেট্টোরি। সেই চাওয়া অবশেষে পূর্ণ হলো ভেট্টোরিদের।

No comments

Powered by Blogger.