মনোনয়নের দৌড় শুরু তৃণমূলে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু হয়েছে। চলছে প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া। ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসে এই তোড়জোড় যেন বেশি।
এবার মমতার দলের মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে নামার ব্যাপারে শুরুতে যাঁদের নাম শোনা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা রঞ্জিত মলিক, নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসু, শাঁওলী মিত্র, সংগীতশিল্পী নচিকেতা, অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল, সাবেক আইএএস আমলা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবেক সিবিআই কর্মকর্তা উপেন বিশ্বাস, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা রচপাল সিং, বিশিষ্ট চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়, অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। তবে শাঁওলী মিত্র, ব্রাত্য বসু ও অভিরূপ সরকার জানিয়েছেন, তাঁরা প্রার্থী হচ্ছেন না। তাঁরা বাইরে থেকে সহযোগিতা করবেন ও পরামর্শ দেবেন।
মমতা আগেই ঘোষণা করেছেন, যোগ্য ব্যক্তিকেই তিনি মনোনয়ন দেবেন। তদবিরে কাজ হবে না। ১৮ এপ্রিল থেকে ছয় দফায় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ১০ মে তা শেষ হবে। ১৩ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে প্রার্থিতা নিয়ে বাম ফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ থাকলেও তা প্রকাশ পায়নি। বাম দল বিধানসভার ২৯৪ আসনেই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই তালিকা প্রকাশ করবে তারা।
তবে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনো সমঝোতা হয়নি। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, তারা এক-তৃতীয়াংশ আসন চাইছে। সে ক্ষেত্রে তাদের ৯৪টি আসন দিলেই চলবে, কিন্তু তৃণমূল এতে রাজি হচ্ছে না। তারা কংগ্রেসকে ৪২টি আসন দিতে চাইছে। এই নিয়ে এখনো দুই দলের মধ্যে দর-কষাকষি চলছে। ২০০৬ সালের নির্বাচনে বাম ফ্রন্ট পেয়েছিল ২৩৫টি আসন, কংগ্রেস পেয়েছিল ২১টি আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৩০টি আসন।

No comments

Powered by Blogger.