ডেভিসনের বিদায়ী ম্যাচ

জন ডেভিসন চাইবেন, শুরুর সঙ্গে যেন মিলে যায় শেষটা। ২০০৩ সালে অভিষেকের দিনই পেয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয়। আজ বেঙ্গালুরুতে খেলতে নামছেন ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। কানাডা কি পারবে তার সবচেয়ে প্রতিভাবান ‘বর্ণাঢ্য’ ক্যারিয়ারের ক্রিকেটারটিকে বিদায় উপহার হিসেবে স্মরণীয় এক জয় এনে দিতে? কল্পনার জাল বুনতে শুরু করার আগে জেনে নিন, কানাডার প্রতিপক্ষের নাম অস্ট্রেলিয়া!
বিশ্বকাপে আজ কানাডার শেষ ম্যাচ। শুধু এই বিশ্বকাপেই নয়; আইসিসি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে হয়তো আর কখনো বিশ্বকাপে দেখা যাবে না কানাডাকে। যে কানাডা প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৭৯ সালে। দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলেছে ২০০৩-এ। সেবারই বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই জয়।
অভিষেক ওই ম্যাচে জয় পেলেও ডেভিসন নিজে অবশ্য কিছু করে দেখাতে পারেননি। পেরেছিলেন তিন ম্যাচ পরে, যেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাত্র ৬৭ বলে। বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল সেটি।
৩১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে ওই একটাই সেঞ্চুরি। পাশাপাশি ৫টি ফিফটিসহ ২৭.০৬ গড়ে করেছেন ৭৮৫ রান। কানাডায় জন্ম নেওয়া, বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। সেই সূত্রেই ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর ভালোবাসার সম্পর্ক। আগামী মে মাসে ৪২-এ পা দিতে চলা ডেভিসন ভিক্টোরিয়া আর সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৫১টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচও খেলেছেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১১১টি উইকেটও আছে তাঁর।
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর অবশ্য নিয়ে ফেলেছেন আগেই। এখন কাজ করছেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির একজন কোচ হিসেবে। ভবিষ্যতে সেটাই করতে চান। তার আগে শেষবারের মতো মাঠে নামবেন আজ। স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন বিদায়ের দিনটি।
ডেভিসনের বিদায়ের দিনটা আবার অস্ট্রেলিয়ার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মঞ্চ। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের দুই ম্যাচ হাতে রেখেই। ১৯ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বলে অস্ট্রেলিয়া ওই ম্যাচে পুরো শক্তির দলই হয়তো খেলাবে। আজ তাই তাদের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ সুযোগ।
দল নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা অস্ট্রেলিয়ার নেই। রিকি পন্টিং ছাড়া বাকি সবাই ভালো রানে আছেন। পন্টিং অবশ্য গত ম্যাচে ৩৬ রানের ইনিংসটায় বড় কিছুর পূর্বাভাস দিয়েছেন। পেসাররাও ভালো করছে। দুশ্চিন্তা কেবল স্পিনারদের নিয়ে। অপ্রত্যাশিতভাবে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া দলের মূল স্পিনার জেসন ক্রেজা ৩২.৫ ওভার বোলিং করে উইকেট নিয়েছেন মাত্র দুটি। গড় ৭২.৫০। আরেক স্পিনার স্টিভেন স্টিথ নিয়েছেন একটি মাত্র উইকেট। ডেভিড হাসি এক ম্যাচে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করতে পেরেছিলেন। তাঁরও এক উইকেট।
এই বিশ্বকাপ স্পিনারদের বিশ্বকাপ হবে বলা হয়েছিল। অথচ অস্ট্রেলীয় স্পিনাররা সব মিলে নিয়েছেন মাত্র ৪ উইকেট! পন্টিং অবশ্য দাবি করেছেন, স্পিনারদের এই পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন। পেসাররা যে ভালো করছেন। তবে আজ স্পিনারদের গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠারও দিন।

No comments

Powered by Blogger.