গিলির পর জেপি

বল চলে গিয়েছিল আকাশের ঠিকানায়। কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব মেনে বল ফিরে এল নিচে। কিন্তু মাটির স্পর্শ পেল না। এর আগেই দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন। ৯৯ রানে আউট জেপি ডুমিনি!
ক্যামেরা এক ফাঁকে ধরল গ্রায়েম স্মিথকে। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক মাথা নাড়ছেন অবিশ্বাসে। নিয়তির এই পরিহাসে প্রবল আপত্তি তাঁর। ডুমিনি যেভাবে খেলছিলেন, সেঞ্চুরিটা তাঁর অবশ্যই প্রাপ্য ছিল। পেলেন না। কিন্তু একটা রেকর্ডের পাতায় অন্তত ঠাঁই হয়ে গেল। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পর তিনিই বিশ্বকাপে ৯৯ রানে আউট হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান।
স্মিথের মাথা নাড়ানোর পেছনে আরেকটি কারণ খুঁজে পেতে পারেন। ওয়ানডেতে এর আগে ৯৯ রানে আউট হওয়া সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনিই। ২০০২ সালে সেঞ্চুরিয়নে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্মিথ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থাকতে আউট হয়েছিলেন। আরেক দক্ষিণ আফ্রিকানেরই আছে এই যাতনা—ল্যান্স ক্লুজনার। সব মিলে ওয়ানডে ইতিহাসে ৩২ বার ১ রানের হতাশায় পুড়েছেন ব্যাটসম্যানরা।
এর মধ্যে শচীন টেন্ডুলকার একাই ৯৯ রানে আউট হয়েছেন তিনবার। এটিও একটি রেকর্ড। ৯৯ রানে দুবার আউট হয়েছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। বাকি ২৭ ব্যাটসম্যানের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে একবার করে। এর মধ্যে ১০ ব্যাটসম্যান ছিলেন ৯৯ রানে অপরাজিত!
খেলোয়াড়দের সেঞ্চুরিবঞ্চিত করতে সবচেয়ে বেশি ‘মজা’ বোধ হয় পায় ওভাল। লন্ডনের এই মাঠেই সর্বোচ্চ পাঁচবার ব্যাটসম্যানরা ৯৯ রান করে ফিরেছে সাজঘরে। অ্যাডিলেড ওভালেও দেখা যাচ্ছে দুই ব্যাটসম্যান এক রানের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হয়েছেন। সেঞ্চুরিয়নের নামও আছে এ তালিকায়।
সেঞ্চুরিয়নে গ্রায়েম স্মিথের ৯৯ রানে আউট হওয়ার কথা ওপরেই পড়েছেন। এ মাঠেই অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন ২০০৩ বিশ্বকাপে। স্মিথের মতোই তাঁকে এই যাতনা উপহার দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

No comments

Powered by Blogger.