ক্রিকেটকে বিদায় ব্রাকেনের

বল হাতে নিলেই উইকেট, দলের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া—বছর দেড়েক আগেও কি দুর্দান্ত ফর্মেই না ছিলেন নাথান ব্রাকেন! গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলীয় সাফল্যের অন্যতম কুশীলব ২০০৯ পকেটে পুরে নেন অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার। ২০০৮-এ ওঠেন ওয়ানডে বোলিংয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে, জায়গা করে নেন আইসিসির ২০০৮ বিশ্ব ওয়ানডে দলেও। কিন্তু চোটের কাছে হেরে সেই ব্রাকেন নাম লেখালেন সাবেকের খাতায়!
হ্যাঁ, নাথান ব্রাকেন এখন সাবেক এক ক্রিকেটারের নাম। চোটের কারণে ৩৩ বছর বয়সেই ক্রিকেটটাকে বিদায় বলে ফেললেন ওয়ানডে বিশেষজ্ঞ ব্রাকেন। গতকাল বিদায়ী ঘোষণায় ১৭৪টি (অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সর্বোচ্চ) ওয়ানডে উইকেটের মালিকের কণ্ঠেও সেই অসহায়ত্বের সুর, ‘সত্যিই আমি আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া—দুই জায়গাতেই ক্রিকেটটা উপভোগ করছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হাঁটুর চোটই শেষ পর্যন্ত সব কেড়ে নিল।’
ব্রাকেন সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, নটিংহামে। ‘অবসরে’র পরামর্শটা তাঁকে দিয়েছেন চিকিৎসকেরাই। ১১৬টি ওয়ানডে, ৫টি টেস্ট ও ১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা পেসার মাঠে থাকার সম্ভাব্য সব পথ খুঁজে দেখেছেন, কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে অবসর নেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন।
বিদায়বেলায় বাঁহাতি এই সুইং বোলার দিয়েছেন বিশেষ এক পরামর্শ—অস্ট্রেলিয়ার কোচিং কাঠামো বদলানো যায় কি না ভেবে দেখতে বলেছেন, যাতে খেলোয়াড়েরা তাঁদের নিজস্ব প্রশিক্ষকের কাছে আরেকটু বেশি সময় কাটাতে পারেন। ক্রিকেট ছাড়লেও ব্রাকেন আঁকড়ে থাকবেন ক্রিকেটকেই। ভবিষ্যতে কাজ করতে চান ক্রিকেট মিডিয়ায়।

No comments

Powered by Blogger.