পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতে নেই: রিচার্ডসন

২০০৯ সালের মার্চ মাসে শেষবারের মতো পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর বসেছিল। সফরকারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা ক্রিকেটের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই দেশ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে একেবারে নির্বাসিতই করেছে। অনেক আগে থেকেই সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের ওপর একটা কালো ছায়া ফেলেছিল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে বহু আগে থেকেই পাকিস্তান সফর বন্ধ করে দিয়েছিল। পাকিস্তানের জন্য আশা হয়ে ছিল উপমহাদেশীয় দেশগুলো। কিন্তু শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলা সেই ‘আশায় গুঁড়ে বালি’ ঢেলে দেয়। কোনো দল সফরে যেতে না চাওয়ায় পাকিস্তান তাদের হোম সিরিজগুলো এখন খেলছে ইংল্যান্ড ও আবুধাবির মতো খরুচে জায়গায়। প্রত্যাশিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সব মিলিয়ে পুরো পরিস্থিতিই দারুণভাবে ব্যাহত করছে গোটা পাকিস্তান ক্রিকেটকে। নিরাপত্তার কারণে আসন্ন বিশ্বকাপের ১৪টি ম্যাচও পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নেয় আইসিসি। সন্ত্রাসবাদের কারণে বিশ্বকাপের ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ায় বহির্বিশ্বে পাকিস্তান পড়েছে গভীর ইমেজ-সংকটে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পাকিস্তান প্রাণান্তকর প্রয়াস চালিয়ে গেলেও দেশটিতে নিকট ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো আসরই আয়োজনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি।
আইসিসির মহাব্যবস্থাপক ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক উইকেটরক্ষক ডেভ রিচার্ডসন জানিয়েছেন, যখন পাকিস্তানে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি হবে, তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দেশগুলো এমনিতেই পাকিস্তানে খেলতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তবে তার আগে তাদের নিরাপত্তাবোধ শক্তিশালী হতে হবে। এই মুহূর্তে সেটার অভাবই লক্ষ করা যাচ্ছে।’
ডেভ রিচার্ডসন পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট কায়েদে আজম ট্রফির ফাইনাল দেখতে বর্তমানে করাচি রয়েছেন। পিসিবি কায়েদে আজম ট্রফির ফাইনাল ফ্লাড লাইটে আয়োজন করায় এর প্রশংসা করেছেন রিচার্ডসন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এভাবেই প্রথম শ্রেণী ও টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা জাগিয়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে পিসিবির উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

No comments

Powered by Blogger.