সেই ব্যাটিংকেই দুষছেন আফ্রিদি

পাকিস্তানের আরও একটি ব্যাটিং-ধসের পর ক্রিকইনফোর সরাসরি ধারাভাষ্যে এক রসিক পাঠকের মন্তব্য, ‘প্রতিটি অজুহাতের জন্য যদি এক পেনি করেও দেওয়া হতো, তাহলে এত দিন কোটিপতি হয়ে যেতেন শহীদ আফ্রিদি।’ কিন্তু অধিনায়কদের যে হতাশ হলে চলে না! পরশু আরেকটি বড় পরাজয়ের পর আফ্রিদির কণ্ঠে সেই পুরোনো বুলি, ‘ব্যাটিংটাই বারবার ডোবাচ্ছে, আশা করি, পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াব।’
আফ্রিদির কথায় বিশ্বাস করার লোক অবশ্য খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তাই পরিষ্কার ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। পরশু ৮ উইকেটে জিতে ওয়ানডেতে টানা দশম জয় পেয়েছে গ্রায়েম স্মিথের দল। ইউনুস খানকে পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে ইউনুসের (৫৪) সঙ্গে মোহাম্মদ হাফিজের (৬৮) ১১৪ রানের জুটিতে ৩০ ওভার শেষে রান ছিল ১ উইকেটে ১৪০। কিন্তু ইয়োহান বোথার অফ স্পিনে এই দুজন আউট হওয়ার পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে পাকিস্তান। ৬৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় ২০৩ রানে।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হাশিম আমলা ২৯ বলে ৩৫ রান করে ভালো শুরু এনে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এরপর জ্যাক ক্যালিস ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ফিফটিতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা ৬৩ বল আগে। টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁতে না পারলেও ডি ভিলিয়ার্স খেলেছেন ৫৩ বলে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তবে বড় জয়ের পাশাপাশি পরশু একটা অস্বস্তি নিয়েও মাঠ ছেড়েছে প্রোটিয়ারা। শোয়েব আখতারের দুটি বাউন্সারে হাতে আঘাত পেয়ে অবসর নেন স্মিথ। চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা ফেরা জ্যাক ক্যালিসের পায়ে ক্র্যাম্প করে উইকেটে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই। এরপর ক্র্যাম্প নিয়েই খেলে গেছেন, তবে ৬৬ রান করার পর অবসর নেন তিনিও। আজ দুজনকেই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা।
ক্যালিস না খেললে দলে ফিরতে পারেন আরেক অলরাউন্ডার আলবি মরকেল। দক্ষিণ আফ্রিকা সত্যিকারের ঝামেলায় পড়বে স্মিথ না খেললে, কারণ দলে আর কোনো স্পেশালিস্ট ওপেনার নেই। সে ক্ষেত্রে একসময় ওপেন করা এবি ডি ভিলিয়ার্স বা কলিন ইনগ্রামকে দেখা যেতে পারে ওপেনিংয়ে। পাকিস্তান দলে ফিরতে পারেন উমর আকমল। তবে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা স্বরূপে ফিরতে পারবেন কি না, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এটাই।

No comments

Powered by Blogger.