সৌভাগ্যের নম্বর ৩৩

খনি ধসে আটকে পড়া ৩৩ শ্রমিককে উদ্ধারে সুড়ঙ্গ খনন করতে হয়। খননকাজ শুরুর ৩৩ দিন পর শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হন খননকারীরা। অনেকেই মনে করেন এটা কাকতালীয় ব্যাপার। তবে কারও কারও মতে এর মধ্যে বিশেষ কিছু আছে।
ড্রিলার সরবরাহ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মিখাইল প্রোয়েস্তাকিস বলেন, ‘শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে আমাদের ৩৩ দিন লেগেছে। আবার সুড়ঙ্গের ব্যাস ছিল ৬৬ সেন্টিমিটার, যা ৩৩-এর দ্বিগুণ।’ তিনি বলেন, ‘আমি সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী। সংখ্যা মিলে যাওয়ার মধ্যে একটি বিশেষ ব্যাপার আছে। এটি সৌভাগ্যের নম্বর।’
উদ্ধার পাওয়া শ্রমিক ডারিও সেগোভিয়ার বোন মারিয়া সেগোভিয়া বলেন, ‘৩৩-এর মধ্যেই যেন সব কিছু। এটা অলৌকিক ব্যাপার বলে মনে হচ্ছে।’
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের মতে, ৩৩ বছর বয়সে যিশুখ্রিষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। অনেকেই আবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, খনি থেকে শ্রমিকদের পাঠানো প্রথম চিরকুটের প্রতি। ওই চিরকুটটি স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ছিল। যাতে বলা হয়েছিল, শ্রমিকরা বেঁচে আছেন। ওই বার্তাটিতে ৩৩টি অক্ষর ছিল।

No comments

Powered by Blogger.