মেনে নিয়েছেন লাম

আকস্মিক প্রাপ্তিকে স্বেচ্ছায় ফেরত দিতে কে-ই বা চায়! ফিলিপ লামও জার্মানির অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনীটা স্বেচ্ছায় দিতে চাননি। তাই বলে তিনি এই পদটার জন্য ‘লালায়িত’ নন। তাই কোচ জোয়াকিম লো মাইকেল বালাক দলে ফিরলে অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলাতে তিনি কিছু মনে করেননি। কোনো উচ্চবাচ্য ছাড়াই কোচের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন জার্মানির ডিফেন্ডার।
বিশ্বকাপের আগে মাইকেল বালাকের হঠাৎ চোটই অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরিয়েছিল লামের হাতে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে দলকে যোগ্য নেতৃত্বই দিয়েছেন তিনি। এর চেয়ে বড় কথা হলো অধিনায়কত্বে ‘মজা’ পেয়ে গিয়েছিলেন লাম। তাই বালাক ফিরে এলে কী করবেন প্রশ্নে বারবারই বলে আসছিলেন স্বেচ্ছায় বাহুবন্ধনী খুলে দেবেন না।
লামের এই কথার পথ ধরে এ নিয়ে অনেক দিন চলল আলোচনা। সংবাদমাধ্যমের জন্যও বিষয়টা ভালো এক রসদ হয়েই ছিল। কখনো বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার বালাকের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন, কখনো আবার লামের পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্ক উসকে দেন কোচ জোয়াকিম লো। এই লোই আবার কদিন আগে জল ঢেলে দিলেন সব আলোচনায়। সাফ জানিয়ে দিলেন—মাইকেল বালাক চোট সেরে দলে ফিরলে ফিরে পাবেন অধিনায়কের বাহুবন্ধনী।
বালাককে তাঁর বাহুবন্ধনী ফিরিয়ে দিতে হবে, এতে কোনো আক্ষেপ নেই লামের। ব্রাসেলসে ইউরো ২০১২ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিতে হবে। এখন আমার কাজ হচ্ছে পরবর্তী দুই ম্যাচে দলকে ভালোভাবে নেতৃত্ব দেওয়া।’
লাম পরের দুই ম্যাচ বলেছেন, কারণ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তী দুটি ম্যাচ পরই বালাক দলে ফিরবেন। তবে বালাক ফিরলেও আর বেশি দিন খেলতে পারবেন বলে মনে হয় না। বয়স হয়ে গেছে ৩৪ বছর। ফর্মটাও আগের মতো নেই। আর লামের বয়স এখন ২৬। বালাক অবসর নিলে হয়তো লামের বাহুতেই উঠবে অধিনায়কত্বের বাহুবন্ধনী।

No comments

Powered by Blogger.