ফিফার রুনি প্রশস্তি

উত্তেজনা আর এতটুকু অবশিষ্ট নেই। তবে আলোচনায় মাঝেমধ্যেই ফিরে ফিরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে কোনো তারকার পারফরম্যান্স কেমন ছিল, তার নিখাদ মূল্যায়ন যে এখনো বাকি!
বাকি ছিল বলেই গত দুটি মাস ওয়েইন রুনিকে বয়ে বেড়াতে হলো মিথ্যা গঞ্জনা। তবে আর না, নিন্দা-ধিক্কার শোনার দিন শেষ। রুনির এখন প্রশংসা পাওয়ার পালা। সেই পালায় প্রথমেই রুনির ভাগ্যে জুটল খোদ ফিফার প্রশংসা। ফিফার বিচারে, বিশ্বকাপে রুনি মোটেও ঘুমিয়ে ছিলেন না, মাঠে দলের জন্য কঠিন পরিশ্রম করেছেন, তাঁর টেকনিকও ছিল ভালো!
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২০০৯-১০ মৌসুমটি অসাধারণ কেটেছিল রুনির। হয়েছিলেন প্রফেশনাল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষসেরা খেলোয়াড়। এই রুনিকে ঘিরেই ইংলিশরা সাজিয়েছিল ৪৪ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় রুনি এমনই নিষ্প্রভ ছিলেন যে, চার ম্যাচ খেলেও ম্যানইউর গোল-মেশিন রুনি একবারের জন্য খুঁজে পাননি প্রতিপক্ষের জাল। জবাবে ইংলিশ সমর্থকেরাই দিয়েছে দুয়ো-ধিক্কার।
বাজে, নিষ্প্রভ, অলস—এসবই সমর্থকদের মূল্যায়ন। ফিফার ১৬ সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটির গবেষণায় বিশ্বকাপের রুনি ধরা দিয়েছেন এই রূপে ‘কঠোর পরিশ্রমী, উদ্যমী স্ট্রাইকার; যিনি দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন; টেকনিকও ভালো।’ গোলশূন্য এই স্ট্রাইকারকে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে মনোনীত করেছে তারা। বাকি দুজন অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড ও ডিফেন্ডার অ্যাশলি কোল।
গবেষণা কমিটির অন্যতম দুই সদস্য ফ্রান্স ও লিভারপুলের সাবেক কোচ জেরার্ড হুলিয়ার ও স্কটল্যান্ডের সাবেক কোচ অ্যান্ডি রক্সবার্গ ইংল্যান্ড দলের প্রশংসাও করেছেন। ফ্যাবিও ক্যাপেলোর দল সম্পর্কে তাদের অভিমত ‘শক্তিশালী, কঠোর পরিশ্রম করা খেলোয়াড়ের দল।’

No comments

Powered by Blogger.