ম্যারাডোনাকে চান মেসি

দলবদলের বাজার আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সেস ফ্যাব্রিগাসকে ন্যু ক্যাম্পে আনার স্বপ্ন দেখাটা এখনো বন্ধ করছে না বার্সেলোনো। ক্লাবের কথা কী বলবেন, বার্সেলোনা খেলোয়াড়েরাই তো সাবেক সতীর্থ ফ্যাব্রিগাসের নামে রীতিমতো কীর্তন করছেন। আর্সেনাল অধিনায়কের যুবদল সতীর্থ লিওনেল মেসি চীন সফরে গিয়েও বললেন, একদিন না একদিন আবার ফ্যাব্রিগাসের সঙ্গে তিনি খেলবেন।
দুজন একসঙ্গে বেড়ে উঠেছেন বার্সেলোনার যুব প্রকল্পে। সেই বার্সেলোনার হয়ে এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে এখন চীনে আছেন মেসি। অলিম্পিক স্টেডিয়াম ‘বার্ডস নেস্টে’ স্থানীয় বেইজিং গুয়ান দলের সঙ্গে খেলার আগে সংবাদ সম্মেলনে মেসির কণ্ঠে ফিরে এল ফ্যাব্রিগাসের প্রসঙ্গ, ‘সেস ফ্যাব্রিগাসের সঙ্গে আবার একই দলে খেলার জন্য খুব উন্মুখ হয়ে আছি আমি।’
বার্সেলোনা প্রসঙ্গে মেসির কথা শোনার আগ্রহ তো আছেই। বেশি আগ্রহ আর্জেন্টিনা, বিশেষ করে ডিয়েগো ম্যারাডোনা প্রসঙ্গে তাঁর কাছ থেকে কিছু শোনার। মেসি কিছুদিন ধরে যেমন বলছিলেন, তেমনই আরেকবার কোচ ম্যারাডোনার প্রতি তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
কোচ ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার জন্য ইতিবাচক কিছু করতে পেরেছেন কি না, তা নিয়ে তর্ক চলতে পারে। কিন্তু আর্জেন্টিনাকে তিনি যে নতুন এক মেসি উপহার দিয়েছেন, তাতে সন্দেহ নেই। মেসিকে নিয়ে অভিযোগ ছিল, তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেন না। বিশ্বকাপে একটি গোলও করতে পারেননি, কিন্তু তাঁকে যে চেহারায় দেখতে চায় আর্জেন্টিনার মানুষ, সেই বিধ্বংসী চেহারাতেই মেসিকে রূপান্তরিত করতে পেরেছিলেন ম্যারাডোনা।
মেসি শুধু ম্যারাডোনাকে কোচ হিসেবে চাইছেন, তা-ই নয়; আগে-পরে ম্যারাডোনা যা বলেছেন, সবই তিনি বিশ্বাসও করেছেন, ‘আমি অবশ্যই চাইনি যে, ম্যারাডোনা চলে যান। উনি যা বলেছেন, সবই আমি বিশ্বাস করেছি। এটাই সম্ভবত ফুটবল।’
মেসির আকাঙ্ক্ষা যা-ই থাকুক না কেন, পরের বিশ্বকাপে তাঁদের হয়তো নতুন কোচের অধীনেই খেলতে হবে ব্রাজিলে। ব্রাজিলে কেমন করবে আর্জেন্টিনা? এত আগে আগে মন্তব্য করতে চান না মেসি, ‘এখনো চার বছর সময় আছে। অনেক কাজ করতে হবে। এখনই চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে কথা বলাটা একটু বেশি আগে আগে হয়ে যায়।’

No comments

Powered by Blogger.