ফাইনালে থাকছেন নাদাল

আর সহ্য করতে পারছেন না রাফায়েল নাদাল। তাঁর দল ফাইনালে উঠে গেছে, আর তিনি পড়ে থাকবেন দূরে! আগে শোনা গিয়েছিল, ফাইনাল দেখতে নাও যেতে পারেন। এবার খবর পাওয়া গেল, সকার সিটি স্টেডিয়ামে স্পেনের ‘বিজয়’ দেখতে হাজির থাকবেন সদ্যই আরেকটি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হওয়া নাদাল।
বর্তমান টেনিসের এক নম্বর তারকা নাদাল সব সময়ই ফুটবলের খুব ভালো সমর্থক, দর্শক। সময়-সুযোগ হলেই নিজের দেশ স্পেনের অনুশীলন বা খেলা দেখতে চলে যান। নিজে রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত। আবার চাচা মিগুয়েল নাদাল ছিলেন বার্সেলোনার এবং স্পেন দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সেই সুবাদে ফুটবলের সঙ্গে নাদালের সম্পর্কটা আসলে রক্তের। খেলা দেখতে বসে পড়েন টেলিভিশনে।
সেমিফাইনালে জয়টাও সেভাবেই দেখেছেন। স্পেন দলকে ‘বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্ন বাস্তব’ করতে দেখে মহা উচ্ছ্বসিত ক্লে-কোর্টের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। নাদাল বলেছেন, এই জয়ে স্পেন তার অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে জেগে উঠবে। তাঁর মতে, এখন স্পেনের যে ফর্ম, তাতে বিশ্বকাপ তারা জিতবেই, ‘আমরাই সেরা এবং আমরা জিতব। আমাদের দলটা খুবই সমন্বিত। ফলে আমাদের জয়টা প্রাপ্য।’
ফুটবলের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটাকে এবার অর্থনৈতিক পর্যায়েও নিয়ে গেলেন নাদাল। কিনে নিয়েছেন দারুণ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে অস্তিত্ব বিলীন হতে বসা রিয়াল মায়োরকার অংশীদারি। লা লিগায় পঞ্চম দল হিসেবে গত মৌসুম শেষ করা মায়োরকার ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। জুন মাসে ক্লাবটিকে টেনে তোলার জন্য একটি ‘কনসোর্টিয়াম’ তৈরি করেছে মায়োরকার মানুষ সাবেক কোচ লোরেনজো সেরা ফেরার।
এই কনসোর্টিয়ামে যোগ দিয়েছেন নাদালও। ক্লাবটির ওয়েবসাইটে নাদাল বলেছেন, ‘রিয়াল মায়োরকাকে সহযোগিতা করতে পারাটাই একটা সম্মানের ব্যাপার। আমি যেভাবে পারি, সেভাবে সহযোগিতা করতে চাই। মায়োরকার স্থানীয় লোকদের নেওয়া এই প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরেই আমি গর্বিত।

No comments

Powered by Blogger.