দুই সতীর্থ যখন প্রতিপক্ষ

একই ক্লাবে খেলেন দুজন। ভাগাভাগি করে নেন ক্লাবের আনন্দ-বেদনা। জাতীয় দলে সে সুযোগ নেই, দুজনের দেশ আলাদা। অবশ্য বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তাতে দুজনের মুখেই এখন হাসি। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে এক দিনই পরই। একজনের হাসি আরও চওড়া হবে, মুছে যাবে আরেকজনের মুখের হাসি। পেপে রেইনার চাওয়া, ফাইনাল শেষে হাসি মুছে যাওয়া সেই ব্যক্তিটি তিনি নন, হবেন ডির্ক কিউট।
ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে একসঙ্গে খেলেন স্পেনের গোলকিপার পেপে রেইনা ও হল্যান্ডের ফরোয়ার্ড ডির্ক কিউট। এখন দুজন দুই শিবিরে, তবে যোগাযোগ ঠিকই হচ্ছে। দুই দলের মহারণের আগে রেইনা হাসিমুখে বললেন, ফাইনাল শেষে হাসি দেখতে চান না বন্ধুর মুখে ‘ডির্কের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হচ্ছে। হল্যান্ড ফাইনালে ওঠার পর ও আমাকে ফোন করেছিল, আমরা ফাইনালে ওঠার পর আমি করেছিলাম ওকে। একটা ব্যাপার এখন অন্তত নিশ্চিত, লিভারপুলের কেউ শিরোপা জিতবে! তবে আশা করি, রোববার ডির্কের মুখের হাসি আর থাকবে না।’
প্রথম ম্যাচে একটির পর আর গোল না পেলেও হল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন কিউট। বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক হয়েও রেইনার অবশ্য মাঠে নামা হয়নি। স্পেনের গোলবার সামলাচ্ছেন সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের একজন ইকার ক্যাসিয়াস।

No comments

Powered by Blogger.