খেটে মরেও খুশি মরিনহোর শিষ্যরা

রিয়াল মাদ্রিদে ‘সামরিক শাসন’ শুরু হয়ে গেছে। ‘স্বৈরশাসক’-এর নাম হোসে মরিনহো। রিয়ালের নতুন কোচ নাকি দুদণ্ড দম নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন না খেলোয়াড়দের। এরই মধ্যে যাঁরা ক্যাম্পে নাম লিখিয়েছেন, মরিনহো তাঁদের শরীরের প্রতিটা কোষ থেকে ঘাম ঝরিয়ে ছাড়ছেন। দিনমান এই খাটাখাটুনির পরও নাকি খেলোয়াড়েরা খুশি! এখানেই তো আসল জাদু লুকিয়ে মরিনহোর। সাধে কি তিনি আর ‘স্পেশাল ওয়ান’!
রিয়ালের মার্সেলোর কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, কেমন চলছে দিনকাল। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার জানিয়েছেন, ‘অনুশীলনে যাতে আমরা একটুকুও দম ফেলতে না পারি, মরিনহো সেটা নিশ্চিত করেছেন। তার পরও আমরা তাঁকে পেয়ে খুশি।’ কেন খুশি, সেই কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন মার্সেলো। ‘দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে’র ভাবসম্প্রসারণ মরিনহো যে এরই মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর শিষ্যদের মধ্যে!
নইলে মার্সেলো কেন বলবেন, ‘আমরা আমাদের সবটুকু নিংড়ে দিয়ে কঠোর অনুশীলন করে যাচ্ছি। জিততে হলে অনুশীলনে কষ্ট তো করতেই হবে। মরিনহো মানুষ হিসেবে খুবই ভালো। তিনি আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন। কাউকে বাড়তি গুরুত্ব দেন না।’
২০০৩ সাল থেকে এই সাত বছরে সব মিলে পাঁচটি শিরোপা জিতেছে রিয়াল। তিনটি লিগ, দুটি সুপার কোপা ডি স্পানা। তবে রিয়ালের সবচেয়ে বড় দুঃখ হয়ে আছে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই শিরোপাটি রেকর্ড নয়বার জিতেছে তারা, অথচ ইউরোপের ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের এই মুকুটের সঙ্গে সর্বশেষ দেখা ২০০১-০২ মৌসুমে।
ছবিটা পাল্টে দেবেন—এই আশা নিয়েই মরিনহোর হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ।

No comments

Powered by Blogger.