নাচছে নিউজিল্যান্ড

বলতে পারেন, চল্লিশ লাখ মানুষের দেশ নিউজিল্যান্ডে এখন কী হচ্ছে? শুধু নাচ আর গান। দক্ষিণ আফ্রিকায় বসে স্বয়ং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কিরই যে চাওয়া, তাঁর দেশের মানুষ নাচুক, গান করুক আর আনন্দে ভেসে যাক!
প্রথম ম্যাচে স্লোভাকিয়ার সঙ্গে ড্র-সাফল্যে উজ্জীবিত হয়েই কিনা ইতালির বিপক্ষে খেলা দেখতে প্রধানমন্ত্রী জন কি ছুটে যান দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসপ্রুইটের মম্বেলা স্টেডিয়ামে। তাঁর সামনেই কোচ রিকি হারবার্ট, অধিনায়ক রায়ান নেলসেনদের দল পেয়ে গেল আরও বড় সাফল্যের দেখা, চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে রুখে (১-১) দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে আনন্দময় এক ড্র। ম্যাচ শেষে প্রধানমন্ত্রী জন কির প্রতিক্রিয়া, ‘এটা ছিল অবিশ্বাস্য, রোমাঞ্চকর। তারা (ফুটবলাররা) অদম্য সাহস দেখিয়েছে। শেষ ৩০ মিনিটে আমার হূদয়ের স্পন্দনটাই বেড়ে গিয়েছিল। আমি চাই আমার দেশ এটা উপভোগ করুক। দেশবাসী শুধু নাচবে।’
তা নাচ-গান তো হবেই। নাচ-গান আর উৎসবে ডুবে থাকার জন্য মিলেছে ছুটির দিনও। আর প্রধানমন্ত্রী জন কির মতো দেশবাসীকে উৎসবে মাতার ডাক দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের কোচ-অধিনায়কও। ইতালির বিপক্ষে ড্রটাকেই ফুটবলে নিউজিল্যান্ডের সেরা সাফল্য মনে করছেন কোচ রিকি হারবার্ট, ‘অবিশ্বাস্য, বিস্ময়কর এক ফল। প্রতিপক্ষের মর্যাদা বিচারে এটাই আমাদের সেরা অর্জন।’
নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখে নাক ছিটকিয়েছে অনেকেই। নিন্দুকদের দিকে পাল্টা তীর ছোড়ার এই তো সুযোগ! সুযোগটি হাতছাড়া করেননি কিউই কোচ, ‘ম্যাচে সবকিছুই সম্ভব ছিল। দল হিসেবে আমাদের যা করার তাই করেছি—যারা বলত আমাদের বিশ্বকাপে খেলা ঠিক নয়, তারাও নিশ্চয় এটাই স্বীকার করবে।’
অধিনায়ক রায়ান নেলসেন ইতালির বিপক্ষে পারফরম্যান্সকে দেখছেন দলের, দেশের মানুষের এবং তাদের পরিবারের জয় হিসেবে। তাঁর অবমূল্যায়িত দলের জন্য এই ফল বিস্ময়কর বলে মনে করছেন নেলসেন, ‘দলটা মাঠে অসাধারণ খেলেছে। এই সাফল্য শুধু আমাদের নয়, আমাদের পরিবার আর নিউজিল্যান্ডের মানুষেরও। আমাদের সাফল্যে তারা গর্বিত হতেই পারে।’
আর যার গোলে এই মহামূল্যবান ড্র, সেই শেন স্মেলজ যেন উড়ছেন আকাশে, ‘গোলটি করে আমি আসলেই আনন্দিত। বিশেষ করে গোলটি ইতালির মতো দলের বিপক্ষে বলে। এটা শুধু একটা পয়েন্টই নয়, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভালো খেলার স্বীকৃতিও

No comments

Powered by Blogger.