মাঠে নেমেই ভোগালেন হ্যারিস

মূল দলে ছিলেন না। প্রথম ম্যাচে দলের স্পিনারের দুর্দশা দেখে জাতীয় দলের মূল স্পিনারকেই ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে পাঠিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঠে নেমে নিজের গুরুত্বও বুঝিয়ে দিলেন ২৯ টেস্ট খেলা পল হ্যারিস। প্রথমে ব্যাট হাতে করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রান। মূল কাজ যেটি সফল সেখানেও, বিকেলে এক ওভারেই আউট করেছেন নাজিমউদ্দিন ও রকিবুল হাসানকে।
ইয়োহান ফন ডার ওয়াথের জায়গায় দলে আসা কুইন্টন ফ্রেন্ড নিজের প্রথম বলেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফীসকে। দ্বিতীয় উইকেটে নাজিমউদ্দিনকে নিয়ে অধিনায়ক শামসুর রহমানের ১০৬ রানের জুটির পর হ্যারিসের ওই আঘাত। প্রথম ম্যাচে ৪৮ ও ৮২ রান করা নাজিমউদ্দিন কালও থিতু হওয়ার পর পারলেন না ইনিংসটাকে বড় করতে। ৮ চারে ৫৩ রান করে উইকেটের পেছনে ধরা পড়লেন থামি সোলেকিলের হাতে। চার বল পর শূন্য রানেই এলবিডব্লু রকিবুল হাসান। দিন শেষে ৬ চার ও ২ ছয় নিয়ে ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন শামসুর, ৮ রানে ফয়সাল হোসেন। আলোকস্বল্পতায় দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে অনেকটা আগেই।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলাররা কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন প্রতিপক্ষকে পাঁচ শর নিচে আটকে রাখতে পেরে। ৫ উইকেটে ৩৬০ রান নিয়ে দিন শুরু করা সফরকারীরা কাল যোগ করেছে ১২২ রান। ৯০ রান নিয়ে দিন শুরু করা সোলেকিলে সফরে তাঁর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেও ৮১ রানের সঙ্গে আর কিছুই যোগ করতে পারেননি রিলে রোজু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’: ১২৭.৩ ওভারে ৪৮২ (সোলেকিলে ১১১, রোজু ৮১, ফিল্যান্ডার ৩৯, হ্যারিস ৩৯*; নূর ৪/১৪৬, ফয়সাল ৩/১১১, নাবিল ১/৬৫, মাহবুবুল ১/৫৮)। বাংলাদেশ ‘এ’: ৩৯.২ ওভারে ১২৮/৩ (শামসুর ৫৯*, শাহরিয়ার ১, নাজিমউদ্দিন ৫৩, রকিবুল ০, ফয়সাল ৮*; হ্যারিস ২/৩৫, ফ্রেন্ড ১/১৯)।

No comments

Powered by Blogger.