বাসিলে পুত্রকে ম্যারাডোনার জবাব

১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপ দলে নিজের নাম না দেখে কেঁদেছিলেন। আজ সেই ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাতে নির্ভর করছে অনেকের হাসি-কান্না। এতক্ষণে আর্জেন্টিনার প্রাথমিক বিশ্বকাপ দল সবার জেনে যাওয়ার কথা। ম্যারাডোনা কাদের নিয়ে বিশ্বকাপ বাজি ধরতে যাচ্ছেন, তার একটা প্রাথমিক ধারণাও পেয়ে যাওয়ার কথা।
দু দিন আগে হুলিও গ্রন্দোনার ছেলে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছিলেন ম্যারাডোনাকে উদ্দেশ করে। একই রকম আক্রমণ করেছেন সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ আলফিও বাসিলের ছেলে আলফিতো বাসিলেও। আলফিতোর অভিযোগ, তাঁর বাবাকে সরিয়ে কোচ হওয়ার জন্য ম্যারাডোনা অনেক ষড়যন্ত্র করেছেন। আলফিতোর সেই অভিযোগেরই জবাব দিলেন ম্যারাডোনা।
বাসিলের সমালোচনা বিভিন্ন সময় করেছেন, এটা স্বীকার করেই ম্যারাডোনা বললেন, ‘আলফিও বাসিলের ছেলে অভিযোগ করেছে, আমি কোচ হওয়ার জন্য ওর বাবার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করেছি। হ্যাঁ, আমি সব সময় প্রকাশ্যে জাতীয় দল নিয়ে অভিযোগ করেছি, সমালোচনা করেছি। এটা করেছি আর্জেন্টিনার ভালোর জন্য। আর্জেন্টিনার কোচ হওয়াটা অবশ্যই আমার জন্য স্বপ্নপূরণের মতো ব্যাপার ছিল। তাই বলে কাউকে সরিয়ে কোচ হতে চাইনি।’
এ কথার পরই আবেগভরে মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাসিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাটা, ‘আমার মনে হয়, আমরা সেই বাসিলের কথা বলছি, যার কারণে আমি ১৯৯৪ সালে অবসর থেকে খেলায় ফিরে এসেছিলাম। আমরা মনে হয়, সেই বাসিলের কথা বলছি, বোকা জুনিয়র্সে যার দুঃসময়ে আমি তার হয়ে লড়াই করেছি। সেই বাসিলের কথাই বলছি, যে আমাকে ফোন করে কান্নায় ভেঙে পড়ত!’
সবকিছুর পর ম্যারাডোনা বলেছেন, তিনি আলফিও বাসিলের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করে সব পরিষ্কার করে দেবেন। সব পরিষ্কার হলেও মনটা কি ভালো হবে? অথচ ম্যারাডোনার মনটা এই সময়ে খুব ভালো থাকারই কথা ছিল। এতটা দুঃসময়কে পিছু ফেলে আসার বর্ষপূর্তি যে পালন করলেন তিনি! মদ ছেড়ে দেওয়ার ঠিক ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে তাঁর। নিজেই বলেছেন, ‘দশ দিন আগে ড্রাগ ছাড়া ছয় বছর পূর্ণ করলাম আমি। এখন চারপাশের সবকিছুই আমার কাছে অনেক মূল্যবান।

No comments

Powered by Blogger.