এতেই খুশি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে কিছু করতে হলে স্পিনারদেরই করতে হবে, সিরিজের আগে থেকেই এ নিয়ে জোর আলোচনা। ওয়ানডে সিরিজের পর এই ধারণা প্রতিষ্ঠিতই হয়ে গেছে। টেস্ট সিরিজের ১৪ সদস্যের দলে তাই তিনজন বাঁহাতি স্পিনার, অফ স্পিনারও দুজন। অথচ টেস্ট সিরিজের আগে একমাত্র প্র্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলে প্রথম সারির কোনো বাঁহাতি স্পিনারকেই পেল না ইংল্যান্ড। প্রস্তুতি ম্যাচ, কিন্তু ইংলিশদের প্রস্তুতিটা হলো তো?
‘প্রস্তুতি ম্যাচ সব সময়ই কাজে লাগে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে অনেকটা সময় কাটিয়েছে। ট্রট-বেলরা প্রথম মাঠে নেমেই রান পেয়েছে। চার পেসার খেলানোটাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ, ওদের দেখার সুযোগ পেলাম। প্র্যাকটিস যা হয়েছে, আমি সন্তুষ্টই’—বললেন ইংল্যান্ডের জিম্বাবুইয়ান কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলে কোনো বাঁহাতি স্পিনার তো খেলানো হলোই না, যে একজন পার্ট টাইমার ছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে বোলিং করানো হয়েছে মাত্র এক ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং করার জন্য যে পরিমাণ ছলাকলা করা হলো, তা কতটুকু কাজে লাগল, প্রশ্ন থাকতে পারে সেটা নিয়েই।
তবে এসব নিয়ে কিন্তু কোনো অভিযোগ, আফসোস বা আক্ষেপ নেই ইংল্যান্ড কোচের। মাশরাফি-আশরাফুল ছাড়া অনভিজ্ঞ বাংলাদেশ দল বা দলে কজন স্পিনার সেটা নিয়েও আগ্রহ নেই। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের স্পিনারদের খেলাটা চ্যালেঞ্জিং হবে এটা মানছেন, কিন্তু এ নিয়ে ভাবছেন বলে মনে হলো না। লাঞ্চের সময় নেটে ৬ ওভার ও চা-বিরতির সময় তিন ওভার বোলিং করেছেন ইনজুরি আক্রান্ত স্টুয়ার্ট ব্রড। দলের মূল পেসারকে প্রথম টেস্টে পাবেন কি না বা অনিয়নসের ইনজুরি সারার লক্ষণ নেই, ফ্লাওয়ার চিন্তিত এসব নিয়েই।
প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে অনেক ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছে ইংলান্ড, তবে জাতীয় দলের জন্য কী প্রেরণা দিতে পারল বাংলাদেশ ‘এ’ দল, সেটা জানা যায়নি। অধিনায়ক ছিলেন, কিন্তু এই ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুলের এর চেয়েও বড় পরিচয় তো ছিল ‘পরীক্ষার্থী’! সেটাতে ব্যর্থ হওয়ার পর আর হয়তো কথা বলতে চাননি, পরে পাওয়া যায়নি ফোনেও। তবে মুখে কিছু না বললেও জাতীয় দলকে কিছু একটা কিন্তু দিতে পেরেছেন আশরাফুল। মেহরাবের সঙ্গে তাঁর পার্ট টাইম স্পিনের সাফল্য সাকিব-এনামুলদের জন্য বড় প্রেরণা হতে পারে টেস্ট সিরিজে।

No comments

Powered by Blogger.