শোয়েব আখতার ‘নট আউট’

বাস্তবতা যা, তাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শোয়েব আখতারের ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের বিতর্কিত এই ফাস্ট বোলারের বিশ্বাস, ক্রিকেটকে তাঁর দেওয়ার এখনো অনেক বাকি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পাকিস্তান দল থেকেও বাদ পড়ার পর তাই অবাকই হয়েছেন শোয়েব, ‘প্রাথমিক দলেও নামটা নেই দেখে বিস্মিত হয়েছি আমি। ব্রেট লির দিকে তাকিয়ে দেখুন, কয়েক মাস ধরেই ফিটনেসজনিত সমস্যায় ছিল সে, খেলেওনি। তার পরও অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক দলে আছে ও। শন টেইটের ব্যাপারটাও একই, ইনজুরির দীর্ঘ ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও সে দলে আছে।’
উদাহরণ হিসেবে ব্রেট লি ও শন টেইটকে তিনি টেনে এনেছেন মূলত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) যুক্তি খণ্ডনের উদ্দেশ্যেই। কিন্তু পিসিবি সভাপতি ইজাজ বাটের কাছে যুক্তির ঢাল ছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শোয়েবের দীর্ঘ অনুপস্থিতি, ‘আমরা কীভাবে নির্বাচিত করব তাকে। ঘরোয়া কিছু ম্যাচ খেলেছে বলে তো তাকে দলে রাখতে পারি না। ও কতটুকু ফিট সেটাই জানি না আমরা।’
তবে এসব বক্তব্যকে পাত্তা দিচ্ছেন না ৩৪ বছর বয়সী শোয়েব। প্রথম ১০০ মাইল গতি তোলা ফাস্ট বোলার আস্থা রাখছেন নিজের সামর্থ্যে, ‘আমি জানি, কতটা সামর্থ্য আমার। নিজের প্রতি আস্থা হারাচ্ছি না। আমি দলে ফেরার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। কারণ এখনো আরও কয়েক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য আমার আছে।’
একদিকে যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে দলে ফেরার লড়াই, তখন মাঠের বাইরেও লড়তে হচ্ছে ৪৬টি টেস্ট ও ১৪৪টি ওয়ানডে খেলা শোয়েবকে। আর এখানেও তাঁর ‘প্রতিপক্ষ’ পিসিবি। আগের বোর্ডের সময় বিভিন্ন সময় শৃঙ্খলাভঙ্গের সাজা হিসেবে ৭০ লাখ রুপি জরিমানার অর্থ বকেয়া ছিল তাঁর, এটি তাঁর বার্ষিক আয় থেকে কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। দারুণ চটেছেন এতে শোয়েব। বেফাঁস কিছু বলেননি, তবে পিসিবির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.