কোচিং মিশে আছে তাঁর জিনে

জার্মানির কোচ হব কি না এটাই তো প্রশ্ন? যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়!’—কিছুদিন আগে জার্মানির পত্রিকা বিল্ডকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান। জার্মানির কোচ হওয়ার ইচ্ছে ফুরিয়ে গেলেও কোচের চাকরি করার ইচ্ছেটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকারের। সুযোগ পেলে আবার কোচিংয়ে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত বিশ্বকাপের পরপরই জার্মানির কোচের পদ ছেড়ে দেন ক্লিন্সমান, ২০০৮-এর জুলাই মাসে দায়িত্ব নেন জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের। মাত্র আট মাস পরই ব্যর্থতার দায়ে ছাঁটাই হতে হয় তাঁকে, যদিও শেষ সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতিয়েছিলেন দলকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে জার্মানির আরটিএল নেটওয়ার্ক টিভি চ্যানেলের বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করবেন ক্লিন্সমান। আপাতত সেই প্রস্তুতি চলছে। তবে বিশ্বকাপের পর কোনো জায়গা থেকে যোগ্য প্রস্তাব পেলে আবার কোচিংয়ে ঢুকে যাবেন। ‘আমি অধৈর্য নই। আমি অবশ্যই কোচিংয়ে ফিরব। এটা খুবই সম্ভব যে বিশ্বকাপের পর হয়তো কোনো চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে’—বলেছেন ক্লিন্সমান।
কোচিং পেশায় এমন আকর্ষণের কারণ বলতে গিয়ে ক্লিন্সমান বলেছেন, ‘এটা যদি আপনার জিনে মিশে থাকে, তাহলে এটা নিয়ে আপনি তো ভাববেনই। ভাববেন কীভাবে এর উন্নতি করা যায়।’ কোচিং নিয়ে আসলেই খুব ভাবেন ক্লিন্সমান। তাই শিখেছেন স্প্যানিশ; স্পোর্টস মেডিসিনসহ কোচিংয়ের আরও খুঁটিনাটি ব্যাপারে পাঠ নিয়েছেন। আর তিনি যে একজন চিন্তাশীল কোচ, জার্মানির কোচ থাকাকালে সেই প্রমাণ তো রেখেছেনই। ২০০৬ বিশ্বকাপের আগে জার্মানি দলের জন্য একজন ফিটনেস ট্রেনার নিয়োগ দিয়েছিলেন, দলে তরুণ খেলোয়াড়দের জায়গা দেওয়াসহ মাইকেল বালাকদের দিয়ে খেলিয়েছিলেন আক্রমণাত্মক ফুটবল—এগুলো তো তারই প্রমাণ।
গত বিশ্বকাপে ভালো ফলও পেয়েছিল ক্লিন্সমানের জার্মানি। নিজে ছিলেন উদীয়মান কোচ! দলও সাজিয়েছিলেন উদীয়মান সব খেলোয়াড়দের দিয়ে। সবাই তো ভেবেছিল জার্মানিকে দিয়ে কোনো আশাই নেই। তবে সবাইকে অবাক করে জার্মানিকে তৃতীয় করেছিলেন ক্লিন্সমান।
এবারের বিশ্বকাপে কেমন করবে জার্মানি? জার্মানির ১৯৯০ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়কের বিশ্বাস, ভালোই করবেন বালাক-পোডলস্কিরা। জার্মানির এ দলটায় মধ্য-কুড়ির খেলোয়াড় বেশি এবং তাঁদের সবারই ৫০টির মতো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে—এ ব্যাপারটিই জার্মানিকে ভালো করতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন ক্লিন্সমান। তবে আর্জেন্টিনার কাছে ০-১ গোলে হেরে যাওয়া নিয়ে এত কিছু ভাবার দরকার নেই বলে মনে করেন তিনি, ‘এই তিন মাসে যা ঘটবে তার প্রভাব বিশ্বকাপে খুব একটা পড়বে না। বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হওয়ার যথেষ্ট সময় আছে। এখন তো অনেকেই বুন্দেসলিগা বা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ সময়ের ব্যস্ততার কারণে ক্লান্ত।

No comments

Powered by Blogger.