তাজিকদের বিপক্ষে ‘নতুন’ বাংলাদেশ

ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে মাত্র দুই ধাপ এগিয়ে তারা। তাজিকিস্তান ১৪৮, বাংলাদেশ ১৫০। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে যোজন যোজন এগিয়ে তাজিকিস্তান। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবলের প্রথম ম্যাচে সেই তাজিকিস্তানকেই সামলাতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে দুই দলের পাঁচবারের সাক্ষাতে চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। একটা মাত্র ম্যাচ ড্র হয়েছিল। দুই দলের গোল ব্যবধানেও বিস্তর ফারাক। দুটি গোল দেওয়ার বিপরীতে বাংলাদেশ হজম করেছে ১৬টি গোল। ২০০৬ সালে ঢাকায় প্রথম এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছিল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির বাংলাদেশ। তাজিকিস্তানের কাছে ৬-১ গোলের হারটা এখনো দেশের মাটিতে বড় লজ্জা। সেবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাজিকিস্তান। দ্বিতীয়বার তো বাংলাদেশ বাছাইপর্বই পার হতে পারেনি।
বাংলাদেশ এবার হারার আগে হারতে চায় না। অধিনায়ক আমিনুল হক তো বলেই ফেললেন, ‘আমরা তাজিকিস্তানকে চমকে দিতে চাই।’ যাওয়ার আগে ভারপ্রাপ্ত কোচ সাইফুল বারীও অবশ্য ভালো খেলার প্রত্যাশা জানিয়ে গেছেন। তাঁর লক্ষ্য সেমিফাইনাল। আজকের ম্যাচটিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে অধিনায়ক আমিনুল কোনো ম্যাচকেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না। তিনি প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চান। দলে কোনো ইনজুরি-সমস্যা নেই। শেষ মুহূর্তে এনামুলের অন্তর্ভুক্তিতে দলের শক্তিও বেড়ে গেছে অনেক।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে চারটায় কলম্বো সুগাথাদাসা স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে তাজিকিস্তানের। একই ভেন্যুতে গ্রুপের অন্য ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মিয়ানমারের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।

No comments

Powered by Blogger.