কারওয়ান বাজারের ফরমালিন পরীক্ষা কেন্দ্রের কার্যক্রম এক বছর বাড়ল

ঢাকার কারওয়ান বাজারের ফরমালিন পরীক্ষাকেন্দ্রের কার্যক্রম আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী এ কেন্দ্রের কার্যক্রম চলবে ২০১০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। চলতি ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে চার মাসের জন্য কেন্দ্রটি চালু করা হয়।
স্কয়ার কনজ্যুমার প্রডাক্টস লিমিটেডের সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি কর্মসূচির আওতায় সেবাকেন্দ্রটির কার্যক্রম বাড়ানো হয়। এ কেন্দ্রে এখন দুজন স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কারওয়ান বাজারের খুচরা মাছের বাজারে কেনাবেচা হওয়া যেকোনো মাছে ফরমালিন আছে কি না, তা বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হবে। কেন্দ্রটির সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন উপসচিব মনোয়ার হোসেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৩ অধিশাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, জনগণের ব্যাপক উত্সাহ ও সমর্থনের ফলে কারওয়ান বাজারের ফরমালিন পরীক্ষাকেন্দ্রটি ইতিমধ্যে সফলতা অর্জন করেছে। কেন্দ্রটি কারওয়ান বাজারে শতভাগ ফরমালিনমুক্ত মাছ বিক্রি নিশ্চিতকরণ ও ফরমালিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে জনসাধারণের মধ্যে সন্তুষ্টি ফিরে আসায় কারওয়ান বাজারে এখন দৈনিক মাছ বিক্রির পরিমাণ প্রায় দুই মেট্রিক টন বেড়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কেন্দ্রটি চালু করা হয় হোপ-৮৭, ঢাকা সিটি করপোরেশন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), মত্স্য অধিদপ্তর, কারওয়ান বাজার খুচরা ও পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সহায়তায়। ঢাকাসহ দেশব্যাপী এ ধরনের ফরমালিন পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করার ব্যাপারে মত্স্য অধিদপ্তর ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সাভারের বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিটিএসি) সংস্থাপন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ম্যানেজিং অ্যাট দ্য টপ’ (ম্যাট) শীর্ষক প্রশিক্ষণের ১৭তম ব্যাচে অংশ নেওয়া পাঁচ কর্মকর্তা কারওয়ান বাজারে ফরমালিন পরীক্ষাকেন্দ্রটি স্থাপন করেন। এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মত্স্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস।
উল্লিখিত পাঁচ কর্মকর্তা হলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক মো. আমীর হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মনোয়ার হোসেন আখন্দ, মত্স্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ইমরান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহিদা আক্তার ও নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মোমেনা খাতুন।
ফরমালিন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ফরমালিনযুক্ত মাছ খেলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ফরমালিনের গন্ধ থেকে মাথাব্যথা ও শ্বাসজনিত রোগ এবং শিশুর শারীরিক ও মেধাবিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.