বিউটির একটি স্বপ্নপূরণ

টানা পাঁচবার দেশের দ্রুততম মানবী তিনি। এত দিন স্বপ্ন দেখতেন, বিদেশে গিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ নেবেন। এসএ গেমসে ভালো কিছু করে বিদায় নেবেন ট্র্যাক থেকে। খুব সামান্যই চাওয়া। শুধু চাওয়া কেন, এটা তো বিউটির অধিকার। অবশেষে বিদেশে প্রশিক্ষণে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে নোয়াখালীর এই মেয়ের। গতকালই নোয়াখালীর আরেক অ্যাথলেট জেসমিন আক্তারকে (১০০ মিটার হার্ডলস) নিয়ে কুয়ালালামপুরে আইওসির হাইপারফরম্যান্স ট্রেনিং সেন্টারে (এইচপিটিসি) যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিউটির।
আগামী বছরের এসএ গেমস সামনে রেখে তিন মাসের জন্য বিউটিসহ পাঁচ অ্যাথলেটকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)। গত রাতে বিউটির সহযাত্রী হওয়ার কথা ছিল আরও তিনি অ্যাথলেটের। কিন্তু বিমানের টিকিট-সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে যাওয়ায় আফজাল হোসেন (৪০০ মিটার হার্ডলস), ইমরান ভূঁইয়া (স্প্রিন্ট) ও আল আমিনকে (লং জাম্প) যেতে হচ্ছে দুই-তিন দিন পর।
এসএ গেমসে এর আগে একটি মাত্র ব্যক্তিগত পদক জিতছেন বিউটি, তাও সেটি ৪০০ মিটারে (ইসলামাবাদ সাফে)। ১০০ বা ২০০ মিটারে পদক জয় কঠিনই মনে করেন তিনি। এবার দেশের মাটিতে কতটা কী করতে পারবেন, সময়ই বলবে। তবে এই প্রথম উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে বিউটির মনে একটু হলেও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। গতকাল কুয়ালালামপুর যাত্রার আগে বলে গেছেন, ‘যে করেই হোক এসএ গেমসে ভালো কিছু করতে চাই। আমি জানি, আমার ওপর অনেক দায়িত্ব। আমি দেশের জন্য খেলতে সব সময়ই তৈরি ছিলাম এবং আছি। এখন মালয়েশিয়ায় উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে খুবই ভালো হবে। টাইমিংটা বাড়ানোই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’
হার্ডলসে এবার জেসমিনকে নিয়ে সোনা জয়ের প্রত্যাশা অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের। জেসমিনও সেটা অসম্ভব মনে করেন না, ‘চেষ্টা করলে পারতেও পারি। মালয়েশিয়ায় আমি চাইব টাইমিংটা ভালো করতে। আশা করি, ভালো টাইমিং করে এসএ গেমসে পদক আনতে পারব।’
শুধু অ্যাথলেট নয়, সাতজন বক্সারকে ব্যাংককে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর কথা ছিল দিনকয়েক আগেই। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যায় তাদের যাওয়া পিছিয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহেই বক্সাররা ব্যাংকক যেতে পারবেন বলে আশা করছে বিওএ।

No comments

Powered by Blogger.