ওবামার ‘ওয়াটারলু’ by হাসান ফেরদৌস

শুরুতে ইতিহাস থেকে পাঠ গ্রহণ করা যাক। ওয়াটারলু বেলজিয়ামের ভালুন ব্রাবান্ত প্রদেশের একটি ক্ষুদ্র মিউনিসিপাল শহর। প্রায় ২০০ বছর আগে ১৮১৫ সালে এই ওয়াটারলুতে ডিউক অব ওয়েলিংটনের নেতৃত্বে এক বহুজাতিক সেনাবাহিনী সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে। এক বছর আগেই তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ইতালির এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হয়েছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে এসে ফের ক্ষমতা দখল করেন নেপোলিয়ন। কিন্তু খুব বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। ইংল্যান্ডের রাজার নেতৃত্বে এক নতুন আঁতাত গড়ে উঠল তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। এই বাহিনীই ওয়েলিংটনের নেতৃত্বে ওয়াটারলুর মাঠে তাঁকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে। সে পরাজয় থেকে নতুন করে ফিরে আসা আর সম্ভব হয়নি নেপোলিয়নের।
বারাক ওবামা ঠিক সম্রাট নন। তিনি কোনো রাজ্য দখলের বা সামরিক অভিযানেরও কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছেন না। কিন্তু তাঁর প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান দল কীভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ওয়াটারলুর মতো এক চূড়ান্ত পরাজয় হানা যায়, এই মুহূর্তে সে আয়োজন চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত। তাদের বিশ্বাস, আমেরিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে যে উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন, তার পরাজয়ের ভেতর দিয়েই রচিত হবে ওবামার ওয়াটারলু। বানিয়ে বলছি না, একাধিক রিপাবলিকান নেতা ওয়াটারলুর নাম নিয়েই ওবামার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। তাঁদের অন্যতম হচ্ছেন দক্ষিণ ক্যারোলাইনা থেকে নির্বাচিত সিনেটর জিম ডিমিন্ট। গত মাসে এক বক্তৃতায় এই সিনেটর ভদ্রলোক ঘোষণা করেন, স্বাস্থ্য বীমা প্রশ্নে যদি ওবামাকে ঠেকানো যায়, তবে তা-ই হবে তাঁর ওয়াটারলু। শুধু তা-ই নয়, ওবামার পরাজয়ের ভেতর দিয়ে সূচিত হবে ডি-ডে, আরম্ভ হবে আমেরিকার প্রকৃত মুক্তি। (যাঁরা ডি-ডে কী তা ভুলে গেছেন, তাঁদের মনে করিয়ে দিই, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষ বছরে ৬ জুন ১৯৪৪, মার্কিন নেতৃত্বে মিত্র বাহিনীর দেড় লাখ সেনা ও তাদের সাঁজোয়া বহর ফ্রান্সের নর্মান্ডিতে অবতরণ করে। অনেকেরই বিশ্বাস, সেই অবতরণ বা ‘ডিসএম্বারকেশন’-এর ধাক্কা সামলাতে না পেরেই হিটলার বাহিনীর পরাজয় হয়।)
সোজা কথায়, রিপাবলিকানরা একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথাই বলছে। এক-দেড় মাস আগেও ভাবা যায়নি যে রিপাবলিকান পার্টির গায়ে-গতরে আর এমন কোনো বল অবশিষ্ট আছে যে তারা ওবামার জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে পারবে বা স্বাস্থ্য বীমার মতো মৌলিক প্রশ্নে পাল্টা যুদ্ধ শুরু করে তাতে জিততে পারবে। গত সপ্তাহে গ্যালপ জনমত জরিপের যে ফলাফল দিয়েছে, তাতে এই প্রথমবারের মতো ওবামার সমর্থন ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। অথচ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পর ওবামার জনসমর্থন ছিল প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমর্থন এত দ্রুত কমে আসেনি। অন্য আর একমাত্র উদাহরণ হচ্ছে বিল ক্লিনটন, যার বেলায়ও ছয় মাস না গড়াতেই জনসমর্থন ৫০ শতাংশের নিচে নেমে আসে, কিন্তু ক্লিনটনের সমর্থন কখনোই সত্তরের কাছাকাছি পৌঁছায়নি। ফলে একে যদি ভূমিধস বলা হয় এবং ওয়াটারলুর তুলনা সামনে আনা হয়, খুব একটা বাড়িয়ে বলা হয় না। অন্য অনেক প্রশ্নেই আমেরিকানরা ওবামার ওপর নাখোশ, তবে তাদের অসন্তুষ্টির তালিকায় এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য বীমা যে এক নম্বর, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।
নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই ওবামা স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার তাঁর অন্যতম প্রধান এজেন্ডা বলে আমাদের জানিয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রধান মাথাব্যথা ছিল অর্থনীতি। সে ব্যথা এখনো যায়নি, যদিও অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, তিরিশের দশকের মতো মহামন্দাবস্থা ওবামা কাটিয়ে উঠেছেন। যে স্টিমুলাস প্যাকেজ তিনি কংগ্রেসের কাছ থেকে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছিলেন, তাতে কমবেশি কাজ দিয়েছে। অর্থনীতি যথেষ্ট পোক্ত হওয়ার আগেই ওবামা স্বাস্থ্য বীমা সংস্কারের কাজে হাত দেন। তিনি খুব ভালো করেই জানতেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর ‘মধুচন্দ্রিমা’ খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না। দুই বছরের মাথায় তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের সম্মুখীন হতে হবে। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বেধড়ক মার খায়। সে মোতাবেক ২০১০ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসে ফের যে রিপাবলিকানরা ফিরে আসবে না বা ডেমোক্র্যাটদের চলতি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হ্রাস পাবে না, এর কোনোই নিশ্চয়তা নেই। সে কথা মাথায় রেখে নিজের জনপ্রিয়তা একটা সম্মানজনক অবস্থায় থাকতে থাকতেই ওবামা স্বাস্থ্য বীমা সংস্কারের উদ্যোগ নিলেন। সন্দেহ করি, ব্যাপারটা যে এত গোলমেলে হবে, তিনি বা তাঁর উপদেষ্টারা কেউই যথাযথ ঠাহর করে ওঠেননি।
রিপাবলিকানরা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, ওবামার কোনো কাজেই তাঁরা সমর্থন দেবেন না। প্রধানত শ্বেতকায় পুরুষেরাই এই দলের ‘বেইস’ বা ভিত। গত নির্বাচনে তাঁদের অধিকাংশই ওবামার বিরুদ্ধে ভোট দেয়। তাঁদের মধ্যে এমন লোকের অভাব নেই, যাঁরা এখনো মনে করেন ওবামা আসলে মার্কিন নাগরিকই নন। তিনি একজন মুসলমান, এমন কথাও তাঁদের অনেকে বিশ্বাস করেন। তাঁদের চোখে ওবামা ও তাঁর প্রগতিশীল আর্থসামাজিক নীতি ভিনদেশি অর্থাত্ ‘আন-আমেরিকান’। এ অবস্থায় নিজেদের বেইসের সমর্থন ধরে রাখার জন্য রিপাবলিকানরা যতটা সম্ভব ওবামার দক্ষিণে অবস্থান গ্রহণ করলেন। দক্ষিণ মানে যেমন-তেমন দক্ষিণ নয়, একেবারে ধর্মযুদ্ধ আর কি! বস্তুত, এই নতুন লড়াইয়ের আসল চেহারাটা ভয়ানক বর্ণবাদী। একজন কালো মানুষ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন, এ দেশের শ্বেতকায় মানুষদের কাছে বিশেষত সেই সব শ্বেতকায়, যারা শ্বেত সভ্যতার শ্রেষ্ঠতায় এখনো সম্পূর্ণ বিশ্বাসী—কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। ফলে বেশির ভাগ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরেও ওবামার সব নীতি যে আন-আমেরিকান অর্থাত্ শ্বেতকায় স্বার্থের বিরোধী, তাদের মধ্যে এমন একটা অলিখিত মতৈক্য গড়ে উঠতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
ওবামা নিজেও তাদের সন্দেহে সমর্থন জোগালেন। শুরু থেকেই তিনি বলে এসেছেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের কল্যাণের স্বার্থে তিনি ‘সরকার’কে ব্যবহার করতে চান। কিন্তু পুঁজিবাদী আমেরিকায় সরকার একটা ভয়ানক ব্যাপার। রোনাল্ড রিগ্যানের সেই কথা, সরকার আমাদের সমস্যার সমাধান নয়, সে সব সমস্যার কারণ—এ দেশের শ্বেতকায়দের একটা বড় অংশ এখনো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। ওবামা এসেই প্রস্তাব করলেন, এমন স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি চালু করা হোক, যার ফলে দেশের সব মানুষ চিকিত্সার সুযোগ ভোগ করবে। বর্তমানে যে ব্যবস্থা চালু আছে, তাতে অধিকাংশ শ্বেতকায় আমেরিকান কমবেশি স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ ভোগ করে। কিন্তু যারা সে সুযোগ ভোগ করে না, তাদের অধিকাংশ হয় কালো মানুষ, নয়তো বহিরাগত অভিবাসী, যাদের অনেকেই আবার অবৈধ। শ্বেতকায় আমেরিকানদের বোঝানো হলো, তোমাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে এখন ওবামা ওই সব বিদেশিকে স্বাস্থ্য বীমা দেবে।
সবচেয়ে বড় আপত্তি উঠেছে স্বাস্থ্য বীমা ক্ষেত্রে ‘পাবলিক অপশন’ নিয়ে। সব ইউরোপীয় দেশে, এমনকি পাশের বাড়ির কানাডায়ও সরকারিভাবে স্বাস্থ্য পরিচর্যা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এ দেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বীমা কোম্পানিই সব দণ্ডমুণ্ডের অধিকর্তা। তারাই ইচ্ছামতো ঠিক করে, কে কোন চিকিত্সা পাবে, কার জন্য কী দাম ধরা হবে। এ কথা সবাই মানে, আমেরিকায় চিকিত্সা খাতের বর্তমান সংকটের আসল কারণই হলো স্বাস্থ্য খাতে বীমা কোম্পানিগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য। সে কথা মাথায় রেখে ওবামা প্রস্তাব করেছিলেন, ব্যক্তিগত খাতের পাশাপাশি একটি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চালু হোক। ব্যক্তিগত খাত তুলে নেওয়া হবে না, তবে যাতে তারা ‘মনোপলি’র সুযোগ নিয়ে কাউকে ঠকাতে না পারে, সে জন্য প্রতিযোগী হিসেবে একটি ‘সরকারি খাত’ রাখা হবে। কাউকে কোনো জোরজবরদস্তি করা হবে না, যার যে ‘অপশন’ পছন্দ, তা গ্রহণের সুযোগ থাকবে।
‘পাবলিক অপশন’ বলা মাত্রই চিত্কার শুরু হয়ে গেল। বীমা কোম্পানিগুলো কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে টিভি-রেডিও, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন অভিযান শুরু করল। তাদের সঙ্গে গলা মেলালেন রিপাবলিকান নেতা-কর্মীরা। এ দেশে সরকারের ব্যাপারে সবাই এমনিতেই সন্দিহান। এখন রিপাবলিকানরা বলা শুরু করলেন, ওবামার স্বাস্থনীতি গৃহীত হলে চিকিত্সক নয়, সরকারি আমলারা ঠিক করবেন কে কোন চিকিত্সা পাবেন। আমেরিকা ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন’ হয়ে উঠবে, ব্যক্তিস্বাধীনতা লাটে উঠবে।
দুটো ভুল করেছিলেন ওবামা। প্রথমত, স্বাস্থ্য বীমা প্রশ্নে খুঁটিনাটি তুলে ধরার বদলে তিনি শুধু মোদ্দা নীতিগুলোর কথা বলেছিলেন, আর আইন প্রণয়নের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেসে তাঁর ডেমোক্রেটিক সমর্থকদের ওপর। কিন্তু তাঁর নিজের দলের ভেতরেই স্বাস্থ্য বীমা প্রশ্নে মতৈক্য নেই। পশ্চিমের উদারনৈতিক সদস্যরা চান, দেশের সব মানুষকে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার অধীনে আনা হোক। কিন্তু দক্ষিণের রক্ষণশীল রাজ্যগুলো থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটরা তাঁদের রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের মতো সরকারের নাক গলানো নিয়ে শুচিবাইগ্রস্ত। তাঁরাও ‘পাবলিক অপশন’-এর বিরোধিতা শুরু করলেন। রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের এই বিভক্তি দেখে বলা শুরু করলেন, তাঁর নিজের দলেই ওবামার প্রস্তাবে সমর্থন নেই, দেশের সমর্থন তিনি পাবেন কী করে?
দ্বিতীয়ত, প্রথমাবধি ওবামা যুক্তি দেখিয়েছেন, কংগ্রেসে উভয় দলের সমর্থন নিয়ে আইন পাস হোক, তা-ই তিনি চান। রিপাবলিকানদের দলে ভেড়ানোর জন্য তাঁদের সঙ্গে সমঝোতা করতে গিয়ে তিনি ক্রমশ তাঁর মূল অবস্থান থেকে হটা শুরু করলেন, রিপাবলিকানদের নানা ছাড় দেওয়া শুরু করলেন। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে আইন পাস করার জন্য যদি পাবলিক অপশন ব্যাপারটা পুরোপুরি বাদ দিতেও হয়, তাতেও তাঁর আর আপত্তি নেই। কিন্তু এই ছাড় দেওয়া দেখে তাঁর নিজের দলের উদারনৈতিকেরা বেঁকে বসেছেন। পাবলিক অপশন তুলে নিলে তাঁরা ওবামার স্বাস্থ্য বীমা আইনে সমর্থন দেবেন না বলে সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এদিকে যতই ছাড় দেওয়া হোক, রিপাবলিকানরা তাঁকে কিছুতেই সমর্থন করবেন না, তা অবশেষে টের পেয়ে ওবামা মতৈক্যের বদলে শুধু তাঁর নিজের দলের সদস্যদের ভোটের জোরেই স্বাস্থ্য বীমা আইন পাস করিয়ে নিতে রাজি বলে ইঙ্গিত করেছেন। তাতে রিপাবলিকানরা আরও তেতে উঠছেন। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় ঐক্যের ধুয়া তুলে একসময় ওবামা অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। এখন তিনিই উল্টো ‘দলবাজি’র প্রবক্তা হয়ে উঠেছেন। এই লোক কাজে এক, কথায় আরেক।
সব মিলিয়ে, খানিকটা লেজেগোবরে অবস্থায়ই পড়ে গেছেন ওবামা। হয়তো ওয়াটারলু নয়, কিন্তু পানিপথের মতো একটা যুদ্ধ তাঁর সামনে রয়েছে, তা মানতেই হবে। যে যুদ্ধে জেতার জন্য তিনি নতুন করে আঁক কষা শুরু করেছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য বীমা প্রশ্নে আরও স্পষ্ট প্রস্তাব তিনি করতে যাচ্ছেন, তাতে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় খোলসা করে বলবেন বলে জানানো হয়েছে। রিপাবলিকান প্রচারণার জবাবে পাল্টা ক্যাম্পেইনের কোথাও হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে। এ ক্যাম্পেইনে ওবামা নিজে নেতৃত্ব দেবেন বলেও আভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেসবের পরেও যদি অবস্থা না বদলায়, তখন ওবামা কী করবেন? একটা জিনিস অবশ্য দিনের মতো পরিষ্কার। ওবামার জনপ্রিয়তা যদি আরও কমে যায় অর্থাত্ ৫০ শতাংশের নিচে চলে আসে, তাহলে ওবামার নিজের দলের লোকেরাই নতুন প্রেসিডেন্ট থেকে দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করবে। আর সেটাই হবে প্রকৃত ওয়াটারলু। রিপাবলিকান কৌশলবিদেরা এখন তেমন একটা কিছু ঘটার ওপরেই বাজি ধরে বসে আছেন।
২ সেপ্টেম্বর ২০০৯, নিউইয়র্ক
হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.