অর্থবছরের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়নি

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করতে পারেনি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রাথমিক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এক মাসের বেশি সময় আগে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি। আর কবে নাগাদ চূড়ান্ত হবে, তা এখনো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।
তবে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা না হলেও ইপিবি গত রোববার ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই মাসের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যায়, জুলাইয়ে দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয় আগের ২০০৮-০৯ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ কমেছে। এ মাসে দেশ থেকে মোট ১৪৩ কোটি ৮১ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১৫৩ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইপিবি প্রাথমিক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে। সর্বশেষ ২৯ জুলাই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরপর তা চূড়ান্ত করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য ১৩ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে চলতি অর্থবছরের জন্য এক হাজার ৭৫৮ কোটির ৮৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আগের ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৫৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
পণ্যভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ওভেন পোশাকের ৬৬৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, নিট পোশাকের ৭২৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার, হিমায়িত খাদ্যের ৪৬ কোটি ৮২ লাখ ডলার, পাদুকার ২০ কোটি ৫৬ লাখ, কাঁচা পাটের ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, পাট পণ্যের ২৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া হোম টেক্সটাইলের ৩৫ কোটি ১১ লাখ ডলার, টেরিটাওয়েলের ১৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার, হস্তশিল্প ৭২ লাখ ১০ হাজার ডলার, টেক্সটাইল ফেব্রিকস আট কোটি ৭৮ লাখ ডলার, প্রকৌশল দ্রব্য ২২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্যের ১৩ কোটি ডলার, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, সিরামিক পণ্য তিন কোটি ৬৫ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.