ফরিদপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি নিহত

ফরিদপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সঞ্জিত কুমার বিশ্বাস (৩২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের মিস্ত্রি বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জিত পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা মামলা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ফরিদপুর র্যাব-৮-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিস্ত্রি বাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ অবস্থান করছে বলে র্যাব খবর পায়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব ও পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এরপর সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব ও পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। ২৫-৩০ মিনিট ধরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ভোরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী লাশটি সন্ত্রাসী সঞ্জিত বিশ্বাসের বলে শনাক্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি গুলিভর্তি একটি বিদেশি রিভলবার, একটি দেশি শটগান ও শটগানের চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৮-এর সহকারী উপপরিচালক আলমগীর হোসেন গতকাল কোতোয়ালি থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, সঞ্জিত জেলার শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় চারটি হত্যাসহ পাঁচটি এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
নিহত সঞ্জিতের বড় ভাই আশুতোষ বিশ্বাসের দাবি, সঞ্জিত গেরদা ইউনিয়ন যুবলীগের এক নম্বর ওয়ার্ডের (মুন্সিবাজার) সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সামনে থেকে র্যাব সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। তাঁরা তাঁকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান জানান, সঞ্জিত বর্তমান কমিটিতে নন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে কমিটিতে ছিলেন। পরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.