এখন আমার সময়: বোল্ট

ইচ্ছাপূরণ দেবীর দেখা উসাইন বোল্ট তো পেয়েছেন আগেই। যা চাইছেন, অনায়াসে এসে ধরা দিচ্ছে তাঁর হাতের মুঠোয়। এ মাসেই ১০০ আর ২০০ মিটারের বিশ্ব রেকর্ড নতুন করে লেখানো বোল্ট বলছেন, সময়টাই এখন তাঁর, ‘আসাফা (পাওয়েল) আর টাইসনের (গে) সময় এসেছিল। আমি নিশ্চিত জানি, এখন সময়টা আমার। আমি সেটা উপভোগ করতে চাই।’
সময়টা নিশ্চয়ই তিনি উপভোগ করেছেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে স্প্রিন্টে তিন ইভেন্টের তিনটিতেই সোনা জিতে গতকালই আবার দৌড়েছেন জুরিখের গোল্ডেন লিগ মিটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বোল্টের দৌড়ের ফলাফল জানা যায়নি। তবে ২৩ বছর বয়সী জ্যামাইকান ‘বজ্রবিদ্যুতের’ না জেতাটাই হবে বিস্ময়।
সময়টা এতটাই ভালো কাটছে, বোল্ট এখন লং জাম্প নিয়েও ভাবছেন। কিছুদিন আগে বোল্টকে এই নিমন্ত্রণ দিয়েছিলেন খোদ লং জাম্পের বিশ্ব রেকর্ডধারী মাইক পাওয়েল! শুধু তাই নয়, পাওয়েলের দৃঢ়বিশ্বাস, ১৮ বছর আগে গড়া তাঁর বিশ্ব রেকর্ড (৮.৯৫ মিটার) ভেঙে প্রথম অ্যাথলেট হিসেবে বোল্ট পেরিয়ে যাবেন ৯ মিটারের সীমানা।
পাওয়েলের কথা মনে ধরেছে বোল্টের, ‘আমি অবশ্যই লং জাম্পে একটা চেষ্টা করে দেখতে চাই। আমার ধারণা, লং জাম্পার হিসেবেও আমি ভালো করব। স্কুলে থাকতেই শখের বসে আমি লং জাম্পে অংশ নিতাম। আমি অবশ্যই একটা চেষ্টা করব।’
তবে এখনই এটি নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে রাজি নন তিনি, ‘মারা যাওয়ার আগে অন্তত একবার চেষ্টা করে দেখব। তবে ১০০ আর ২০০ মিটারে জেতা কঠিন হলেই কেবল তা করব।’
শুধু বোল্ট নন, গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সফল তাঁর দেশও। সাতটি সোনাসহ মোট ১৪ পদক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই পদক তালিকায় ছিল জ্যামাইকা। বোল্ট জানালেন, ক্যারিবীয় দেশটি বরাবরই ভালো ভালো দৌড়বিদ জন্ম দিয়েছে। পার্থক্য হলো, আগে অনেকেই বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সেখানকার মাত্রাতিরিক্ত অনুশীলনের কারণে ইনজুরিতে পড়ে অকালেই ঝরে যেতেন। আর এখন তাঁরা নিজ দেশেই অনুশীলন করেন। ‘এখন যারা ভালো করছে তাদের প্রায় সবাই জ্যামাইকাতেই থাকে। তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারে, কখন তারা দৌড়াবে আর কখন এই ক্লান্তিকর কাজের নিচে নিজের শরীরটাকে ঠেলে দেবে না’—সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বোল্ট।

No comments

Powered by Blogger.