গাজায় আরও ১৪ হত্যা, দুর্ভিক্ষাবস্থা
আজ বৃহস্পতিবার সকালের শুরুতেই গাজা উপত্যকায় আরও কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলিরা। ওদিকে ইসরাইলের দখল করে নয়া পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের সহায়সম্পদ ভাঙচুর করছে। গবাদিপশু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমতীরের জর্ডান উপত্যকায় ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর ওপর বুধবার দিবাগত রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের একটি গ্রুপ। ইসরাইলের অবৈধ বসতি হামরা এলাকার কাছে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ফিলিস্তিনিদের তাঁবু, সৌর প্যানেল এবং অন্য সহায়সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি করে। নিয়ে যায় কয়েক ডজন গবাদিপশু। ওদিকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ইসরাইল বন্ধ করে দেয়ার ফলে সেখানে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়া বলছে, দুর্ভিক্ষাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অনাহারী শিশুদেরকে রাস্তায় রাস্তায় খাবার চেয়ে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। কাউকে দেখলেই তারা একবুক আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কারো কাছে খাবার নেই। ওদিকে খাদ্যপণ্যের দাম ৫০০ গুনের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ বলছেন, খাদ্যের গুদামঘরে যেটুকু খাবার জমা আছে তার সন্ধানে সেখানে যেতে পারছে না লোকজন। ইসরাইলি সেনারা তাদের ওপর আগ্রাসীভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ফলে যেটুকু খাবার সেখানে অবশিষ্ট আছে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হানি মাহমুদ এর আগে জাতিসংঘের দেয়া বিবৃতির উল্লেখ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, সীমান্তের অন্যপাড়ে অত্যাবশ্যকীয় সহায়তা ও জীবন রক্ষাকারী পণ্য নিয়ে অপেক্ষায় আছে তিন হাজার ট্রাক। কিন্তু তা গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরাইল। এসব ত্রাণের ওপর ভিত্তি করে বেঁচে থাকে গাজার প্রায় ১০ লাখ শিশু। এই খাবার গাজায় আসতে না দিলে সেখানে চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। ওদিকে হামাস ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ১৫ই মে থেকে নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইজারল্যান্ড। এই সিদ্ধান্ত থেকে তাদেরকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। বলা হয়েছে, তাদের এ সিদ্ধান্ত দখলদারদের পক্ষে বিপজ্জনক অবস্থান। এর মধ্য দিয়ে তারা আইনগত ও মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতাকে উপেক্ষা করছে। হামাস বলেছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছেন। এ জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করতে সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রতিশ্রæতি প্রয়োজন।
.jpeg)
No comments