দুদকে যাদের নাম আলোচনায় by মারুফ কিবরিয়া
এদিকে দুদক গঠনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নাম আলোচনায় আছে। আলোচনা আছে সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া সরকারের দায়িত্ব পালন করা একাধিক আমলা ও বিচারকসহ ১৩ ব্যক্তির নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। গত ২৯শে অক্টোবর পদত্যাগ করেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, কমিশনার মো. জহুরুল হক ও মোছা. আছিয়া খাতুন। জানা গেছে, এই তিনটি পদে নিয়োগে গঠিত কমিটি ছয় জনের নাম জমা দেবে প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রেসিডেন্ট ওই তালিকা থেকে তিন জন নির্বাচন করবেন। তাদের মধ্য থেকে একজনকে দেবেন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
আলোচনায় যাদের নাম: তবে সার্চ কমিটি নাম প্রস্তাব করার আগেই দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার হিসেবে অন্তত ১৩ জনকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তারা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন ও বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া ও মো. আবদুল আজিজ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, মেজর জেনারেল (অব.) নিজাম উদ্দিন, সাবেক আইজিপি শহুদুল হক, দুদকের সাবেক ডিজি আহমেদ নাজমুল হোসেইন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মেজবা উন নবী, ঢাকা মহানগর আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মোতাহার হোসেন, দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী এবং সাবেক সচিব এ এইচ এম নুরুল ইসলাম।
সার্চ কমিটিতে যারা: দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হক। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম ও সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
গত ১০ই নভেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাছাই কমিটি, চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ প্রদানের উদ্দেশ্যে, উপস্থিত সদস্যদের অন্যূন ৩ জনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে ২ জন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। অন্যূন ৪ জন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম গঠিত হওয়ার কথা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এদিকে চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদ শূন্য হওয়ায় দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন গত ৩০শে অক্টোবর দুদকের সব মহাপরিচালক, পরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে নিয়ে বিশেষ সমন্বয় সভা করেন। প্রতিটি বিভাগ ও সব জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি সভায় অংশ নেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অনুসন্ধান, মামলা ও চার্জশিট অনুমোদন ছাড়া কমিশনের অন্য সব কাজ স্বাভাবিক চলবে। কেননা, কমিশনার ছাড়া কোনো অভিযোগ অনুসন্ধান, মামলা দায়ের ও চার্জশিট অনুমোদন করার সুযোগ দুদক আইনে নেই।
No comments