মার্কিন নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির ‘হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ তুললেন ট্রাম্প
এতে বলা হয়, অভিযোগটি বৃটেনের লেবার পার্টি এবং কমালা হ্যারিসের প্রচারাভিযানের মধ্যে যোগাযোগকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়। ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছেন এমন যোগাযোগ অবৈধ। কেননা এটি ভিন্ন দেশের রাজনীতিতে ‘হস্তক্ষেপের’ শামিল।
ওয়াশিংটনের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের কাছে ট্রাম্পের আইনি দলের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃটিশ সরকারের প্রতিনিধিরা পূর্ব আমেরিকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, লেবার পার্টির স্বেচ্ছাসেবকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনে বিদেশী হস্তক্ষেপ সম্পর্কে অবিলম্বে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে ট্রাম্পের প্রচারণা টিমের তরফে ।
ওয়াশিংটন পোস্টে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়া লেবার পার্টি সংশ্লিষ্ট অ্যাক্টিভিস্টরা যে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণা চালাচ্ছেন তা বিবিসি’র নজরেও এসেছে। যদিও এ বিষয়ে লেবার পার্টি এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। বিশেষ করে সংবাদপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, লেবার পার্টির অ্যাক্টিভিস্টরা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন এবং তারা কমালার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের ওই রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে যে, লেবার পার্টি সহায়তা করেছে এবং কমালা হ্যারিসের প্রচারণা টিম তা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে বলে ওয়াশিংটন পোস্ট তার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
উপরন্তু, অভিযোগটি লিঙ্কডইন-এ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে করা হয়েছে, যেখানে লেবার পার্টির একজন কর্মকর্তা সদস্য বলেছেন যে, লেবার পার্টির সাবেক ১০০ কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী রাজ্যগুলোতে ভ্রমণ করবেন। এছাড়া লেবার পার্টির হেড অব অপারেশন সোফিয়া প্যাটেলের পোস্টে যোগ করা হয়েছে, যারা ভ্রমণ করবেন তাদের থাকার ব্যবস্থা পার্টির পক্ষ থেকেই করা হবে। অবশ্য এই পোস্ট পরে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগটি ২০১৬ সালের আরেকটি ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেসময় অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি (এএলপি) মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের প্রচারণায় সহায়তা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। এজন্য ভ্রমণকারীদের বিমান খরচ এবং দিন হিসেবে অর্থও প্রদান করা হয়েছে। পার্টির পক্ষ থেকে ভ্রমণকারী প্রত্যেককে ১৪ হাজার ৫০০ ডলার করে সম্মানী দেয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রচারণা টিমের সহ-ব্যবস্থাপক সুসি ওয়াইলস বলেছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে, আমেরিকানরা আবারও ১৭৭৬ সালের মতো বৃটিশ সরকারের হস্তক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করবে। হ্যারিস-ওয়ালজ ক্যাম্পেইনটি প্রমাণ করে তারা আমেরিকান জনগণের মন জিততে পারবে না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরবেন এবং আমেরিকার জনগণ তার কাছে অগ্রাধিকার। হ্যারিসের প্রচারণায় অবৈধ বিদেশী সহায়তার ব্যবহার আমেরিকা নির্বাচনে বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা মাত্র, যা সফল হবে না। যদিও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার গত মাসে নিউইয়র্ক সফরের সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। স্টারমার ট্রাম্প টাওয়ার পরিদর্শন করে বলেছিলেন যে, আমি ট্রাম্পের মুখোমুখি চাই। কেননা বিশ্ব মঞ্চে আমি ব্যক্তিগত সম্পর্কে বিশ্বাসী।
No comments