কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় নার্গিস

চলচ্চিত্রে নার্গিসের শুরুটা হয়েছিল একজন নায়িকা হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি বহু চলচ্চিত্রে বোন, ভাবি এবং মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নার্গিসের ধারণা, তার সময়ের অনেক প্রযোজক, পরিচালক নাটক এবং চলচ্চিত্রে নেই বলে তিনিও তার কর্মক্ষেত্রে খুব একটা ডাক পান না । কিন্তু তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিচালকরা কিছু চরিত্রের জন্য তার ওপর নির্ভর করেন। পরিচালক মান্নান শফিক এমনই একটি চরিত্রে নার্গিসকে নিয়ে একটি জনসচেতনতামূলক তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। কিশোরীদের পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গেল সপ্তাহের শেষপ্রান্তে রাজধানীর অদূরে এ তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। এটি রচনা করেছেন বিটিভির মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ। এই তথ্যচিত্রে কাজ করা প্রসঙ্গে নার্গিস বলেন, অনেকদিন পর একটি কাজ করেছি।
আমাদের কিশোরীদের তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই এতে অভিনয় করেছি আমি। খুব ভালো একটি কাজ হয়েছে। ধন্যবাদ বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষসহ নির্মাতা মান্নান শফিককে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনায় তথ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে। শিগগিরই এটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার শুরু হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান প্রযোজিত ‘ঝড়ের পাখি’ সিনেমা দিয়ে নায়িকা নার্গিসের পথচলা শুরু। যদিও সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন খান আতা, কিন্তু নাম যায় সিবি জামানের। ‘ঝড়ের পাখি’তে অভিনয়ের সময়ই খান আতা হোসনে আরা নাম থেকে নার্গিস নামকরণ করেন। তবে ই আর খান তার নাম দিয়েছিলেন শবনম ক্যালী। ‘ঝড়ের পাখি’র পর নার্গিস ‘অবদান’, ‘গুনাহগার’, ‘চম্পাচামেলী’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘আদালত’, ‘নোলক’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘রাজকুমারী চন্দ্রভান’, ‘রং বেরং’, ‘মায়ার বাঁধন’, ‘সারেং বউ’, ‘স্মৃতি তুমি বেদনা’, ‘কলংকিনী’, ‘রামের সুমতি’,‘ সংঘর্ষ’, ‘পিঞ্জর’সহ আরো বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

No comments

Powered by Blogger.