১ টনের বুদ্দু বাবু

কয়েকদিন বাদেই কোরবানির ঈদ। পবিত্র ঈদকে টার্গেট করে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের খামারিরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে। দীর্ঘ পরিচর্যা শেষে খামারিরা এখন তাদের পশু বিভিন্ন হাটে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এবার বাড়তি আকর্ষণ অজিত রায়ের বুদ্দু বাবু। বুধবারে জন্ম নেয়া কালো সাদার মিশেল রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষাঁড়টিকে আদর করে নাম দেয়া হয়েছে বুদ্দু বাবু। বুদ্দু বাবু খুবই শান্তশিষ্ট প্রকৃতির ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় গরু। গরুটি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের খামার কাঠুরি গ্রামের অজিত রায়ের। গরুটিকে সন্তান স্নেহে লালন পালন করে আসছেন তিনি।
প্রাকৃতিক খাবার যেমন সবুজ ঘাষ, খড়, ভুষি, ভুট্টার ভাঙা দানা খেয়ে বেড়ে উঠেছে। নজরকাড়া গরুটি সার্বক্ষণিক দেখভাল করেন অজিত রায়ের স্ত্রী। গরুটির ওজন প্রায় ১ টন। খুবই শান্ত, রোগ মুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বুদ্দু বাবুর। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক মানুষ ওই বাড়িতে এসে ভিড় করছেন। গরু পালনের বিষয়ে খামারি অজিত বলেন, নাগরপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে গরুর ওজন এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ানো হয়েছে। নিয়মিত গোসল করানো, পরিষ্কার ঘরে রাখা, বাবুর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত হাঁটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেয়া ও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো এ সব বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরামর্শেই আজ বুদ্দু বাবু ১ টন। বুদ্দু বাবুকে মোটাতাজা করার ব্যাপারে কোনো প্রকার ওষুধ ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান তিনি। ্রবুদ্দু বাবুর দামের প্রত্যাশায় অজিত রায় বলেন, বাজার অনুযায়ী বিক্রি করতে হবে। তবে ন্যায্য দাম পেলে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করার ইচ্ছা রয়েছে। তিনি গরুটির দাম হাঁকছেন ৮ লাখ টাকা।

No comments

Powered by Blogger.