প্রটোকলের অযুহাতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে অস্বীকৃতি নেপালের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

পুস্প কমল দহল ও মাধব কুমার নেপাল (ডানে)
নেপালের ক্ষমতাসীন সিপিএন দলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুস্প কমল দহল এবং মাধব কুমার নেপাল ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে তার হোটেলে গিয়ে সাক্ষাত করতে অস্বীকার করেছেন। প্রটোকলের কথা বলে তারা এই সফর প্রত্যাখ্যান করেন। যদিও অন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং বাবুরাম ভাট্টারায় ভারতীয় মন্ত্রীর সাথে দেখা করবে দোয়ারিকার হোটেলে গিয়েছিলেন।

দুই দিনের সফরে বুধবার নেপাল পৌঁছান জয়শঙ্কর। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় তার হোটেলে সাক্ষাতের জন্য দহলকে এর পরপরই নেপালকে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

দহল তার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যাওয়া কূটনৈতিক রীতির মধ্যে পড়ে না। নেপালও একই কারণে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।

নেপালের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেসের (এনসি) প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেউবা অবশ্য দুপুরে হোটেলে গিয়ে ভারতীয় মন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। মে মাসের শেষের দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন জয়শঙ্করকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দেন, তখন তাকে অভিনন্দন জানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন দেউবা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সোশালিস্ট পার্টি নেপালের চেয়ারম্যান ভাট্টারায় ভারতীয় মন্ত্রীর সাথে এক বিকেলে দেখা করেছেন। ভাট্টারায় তার দলের অন্য চেয়ারম্যান এবং ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী উপেন্দ্র যাদবকেও সাথে নিয়েছিলেন।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদিপ কুমার গিয়াওয়ালির আমন্ত্রণে নেপাল-ভারত জয়েন্ট কমিশনের বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য নেপাল সফরে গেছেন জয়শঙ্কর। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সাথে তার বাসভবনে সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে তিনি সেখানে রাজনৈতিক বৈঠক শুরু করেন।

মন্ত্রী হিসেবে জয়শঙ্করের এটা প্রথম নেপাল সফর। নেপালের বিরুদ্ধে ভারত যখন অবরোধ আরোপ করেছিল, তখন পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন তিনি।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে নেপালের নতুন সংবিধান গ্রহণের আগ দিয়ে নেপাল সফর করেছিলেন তৎকালিন পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর। তিনি নেপালি নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যাতে তারা নতুন সংবিধান গ্রহণ না করেন এবং সেখানে মাধেসিদের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

তার পরামর্শের প্রতি নেপালি নেতাদের অস্বীকৃতিতে তিনি স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং মনে করা হয় নেপাল সংবিধান গ্রহণের পর তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের জন্য তিনিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজি করিয়েছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.